শিক্ষার আলো ডেস্ক
এই বছর থেকে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে সরকারিকরণের অপেক্ষায় থাকা ৩০৩টি কলেজে। কোন কোন কলেজে অবসর ও মৃত্যুজনিত কারণে শিক্ষক সংকট রয়েছে, তার খোঁজ নিয়ে কলেজগুলোতে নতুন শিক্ষক দেওয়া হবে। একইসঙ্গে এই বছরের মধ্যেই কলেজ সরকারিকরণের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
নির্বাচিত বেসরকারি কলেজগুলোকে সরকারি করতে ২০১৮ সালে জিও বা সরকারি আদেশ জারি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর বিভিন্ন ধাপে যাচাইবাছাই শেষে কলেজ সরকারিকরণের ফাইল এখন আটকে আছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। এ বিষয়ে মন্ত্রী শিক্ষকদের ‘আশা ধরে রাখা’র পরামর্শ দেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এই বছরেই সব কলেজ সরকারি হওয়ার কাজ শেষ হবে।’
সরকারিকরণের কাজটি দেরি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আসলে শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণের যে প্রক্রিয়া তা কিছুটা জটিল। এ প্রক্রিয়াগত কারণেই সরকারি হওয়া কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণের কাজে কিছুটা সময় লাগছে। আমরা এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যা যা করা প্রয়োজন তা করার চেষ্টা করছি। এ বছরই সরকারি হওয়া কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণের কাজ শেষ হবে।’
মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সরকারিকরণের কাজ এ বছরেও শেষ হবে না। কারণ অনেক শিক্ষক-কর্মচারীর চাকরির কাগজে ঝামেলা রয়েছে। এসব ঝামেলা সমাধানে শিক্ষকরা আগ্রহী হলেও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা যথেষ্ট আগ্রহী না। তারা কাজ করছেন ঢিমেতালে। আর একারণেই কাজটি এ বছরেও শেষ করা সম্ভব হবে না।’
প্রসঙ্গত, সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, এই কলেজগুলো সরকারি হওয়ার পর এই কয় বছরে বছরে ২ হাজারেরও বেশি শিক্ষক-কর্মচারী অবসরে গেছেন।
উল্লেখ্য,দেশের যেসব উপজেলায় কোনো সরকারি কলেজ ছিল না, সেগুলোতে একটি করে বেসরকারি কলেজকে সরকারি করা হয়েছে। এই কলেজগুলো সরকারিকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। এজন্য ওই বছরের ৩০ জুন কলেজগুলোতে নতুন করে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। পরে বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট দেশের ২৭১টি বেসরকারি কলেজকে সরকারি করে আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে-পরে আরও ৩২টি কলেজ জাতীয়করণ হয়। সব মিলিয়ে সরকারি হওয়া কলেজের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩০৩টি।
Discussion about this post