অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে সুবর্ণজয়ন্তী শিক্ষাবৃত্তির ওয়েবসাইট চালু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এই ওয়েবসাইটের (https://www.sjsdhaka.gov.in) উদ্বোধন করেন।
ভারতীয় হাই কমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়ছে, এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের একটি উদ্যোগ হিসেবে দুই দেশের মধ্যে শিক্ষা ও পেশাদারিত্বের সুযোগসমূহ ভাগ করে নেওয়ার জন্য একটি ঐকান্তিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এরই আলোকে ২০২১ সালের ২৬-২৭ মার্চ তার বাংলাদেশ সফরের সময় বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের জন্য এক হাজার সুবর্ণজয়ন্তী বৃত্তি (আইসিসিআর: ৫০০ আসন, আইটিইসি: ৫০০ আসন) ঘোষণা করা হয়েছিল।
এসব বৃত্তির লক্ষ্য হরো সেরা ও উজ্জ্বল প্রতিভার অধিকারীদের আকৃষ্ট করা এবং ভারতের নতুন শিক্ষানীতির অধীনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ প্রদান করা। এই লক্ষ্য পূরণে এই বৃত্তির জন্য একটি নিবেদিত ওয়েব পোর্টাল আজ জনসাধারণের জন্য আজ উন্মুক্ত করা হয়েছে। এসজেএস ওয়েবসাইটটি আবেদনকারীদের আইসিসিআর ও আইটিইসি উভয় সাইটেই পথনির্দেশনা দেবে।
১৯৫০ সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের মাধ্যমে ভারত ও অন্যান্য দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া জোরদার করার জন্য ভারতীয় সাংস্কৃতিক সম্পর্ক পরিষদ (আইসিসিআর) বৃত্তি চালু হয়েছিল।
ভারতীয় কারগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা (আইটিইসি) কর্মসূচিটি ১৯৬৪ সালে চালু করা হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলিতে পেশাদারদের জন্য জ্ঞান ও দক্ষতার আদান-প্রদান বৃদ্ধি করা।
গত বছর, অর্থাৎ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ভারতের আইআইটি, এনআইটি, নালসার, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রকৌশল, বিজ্ঞান, কলা, আইন, সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে, স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি স্তরে ২৬৭টি আইসিসিআর বৃত্তি পেয়েছিলেন।
মহামারির কারণে কোনো সরাসরি কোর্স অনুষ্ঠিত না হওয়াতে ২৮৫ জন বাংলাদেশি পেশাজীবী ২০২১-২২ অর্থবছরে ই-আইটিইসি কোর্সের জন্য নিবন্ধন করেছেন।
Discussion about this post