নিজস্ব প্রতিবেদক
একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেছেন, প্রয়াত অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার ছিলেন একজন নিখাদ দেশপ্রেমিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সৎ ও নিরহংকারী সমাজসেবক। তাঁদের মতো দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধার অগাধ সাহসিকতার ফসল আমাদের লাল-সবুজ পতাকা, আমাদের সোনার বাংলা।
উনি শুধু মহান মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল দিনগুলোতেই নয়, ৭৫ পরবর্তী ভয়াল সময়েও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। লোভ লালসার ঊর্র্ধ্বে উঠে একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি দেশের মাটি ও মানুষের জন্য কাজ করেছেন।
গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুর নাহার মিলনায়তনে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের বাবা অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদারের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু হোমিওপ্যাথিক ডক্টরস এসোসিয়েশন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ পাবলিসিটি কাউন্সিলের উদ্যোগে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার মুক্তিযুদ্ধকালীন রাঙ্গুনিয়া আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন উল্লেখ করে এম এ মালেক বলেন, রাউজানে আমার ভগ্নিপতি ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ এবং রাঙ্গুনিয়ায় অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার জীবনবাজি রেখে যেভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রেখেছিলেন, তা জাতীয় ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকবে।
তিনি বলেন, নুরুচ্ছফা তালুকদার শুধু একজন আইনজীবী নন, তিনি ছিলেন আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ। মাটি ও মানুষের প্রেমে জীবনের পুরোটা সময় তিনি কাজ করেছেন। সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। মানুষের জন্য তিনি তৈরি করেছেন স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। তাঁর শূন্যতা দেশ ও জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে সত্যিকার সোনার বাংলা বিনির্মাণ সম্ভব।
আজাদী সম্পাদক বলেন, ২০১১ সালে ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার মানুষের কথা ভেবেছেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও সততা ও দক্ষতার সাথে পালন করেছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু হোমিওপ্যাথিক ডক্টরস এসোসিয়েশসের সাধারণ সম্পাদক ডা. একেএম ফজলুল হক সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু মোহাম্মদ হাশেম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার এবং অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদারের ছেলে ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টি খালেদ মাহমুদ।
Discussion about this post