শিক্ষার আলো ডেস্ক
১৭ দফা দাবিতে রেজিস্ট্রারের দফতরে তালা দিয়ে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তৃতীয় দিনের মতো কর্মসূচি পালন করছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। শনিবার সকাল ১০টা থেকে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রার দফতরের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে ওই দফতরের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
নির্ধারিত রিজেন্ট বোর্ড না করে ১০২ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া ও পদোন্নতি ঝুলিয়ে রেখে উপাচার্য এম রোস্তম আলীর মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহ আগে চুপিসারে ক্যাম্পাস ছাড়েন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদ রেজিস্ট্রারকে কার্যালয় থেকে বের করে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) বিজন কুমার ব্রহ্ম বলেন, ‘উপাচার্য নেই, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের পদও শূন্য। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরিস্থিতিতে খুব অসহায় বোধ করছি। উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হলে কীভাবে ক্যাম্পাস চলবে, সেটা নিয়েও চিন্তিত আছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ হোসেন বলেন, ‘করোনাকালে অর্ধেক জনবল নিয়ে অফিস করা, উচ্চতর স্কেল প্রদান, অটো পদোন্নতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কমিটিতে কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করাসহ ১৭ দফা দাবি গত ২৪ জানুয়ারি লিখিতভাবে উপাচার্যকে জানানো হয়। তিনি গত ২৯ জানুয়ারি কর্মকর্তাদের তার বাসভবনে ডেকে দাবি পূরণের আশ্বাস দেন এবং পরবর্তী সাত কর্মদিবসের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা জানান।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু উপাচার্য দাবি বাস্তবায়নের কোনও উদ্যোগ নেননি। তিনি মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছেন কর্মকর্তাদের। তাই বাধ্য হয়ে রেজিস্ট্রার দফতরের প্রধান গেটে তালা দেওয়া হয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তবে রেজিস্ট্রার দফতরে কেউ আটকা পড়েনি। দফতরের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় কর্মসূচি চলমান থাকবে।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলীর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, আগামী ৬ মার্চ উপাচার্যের দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। ৪ বছর আগে নিয়োগের পর থেকেই উপাচার্যের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ইতোপূর্বে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ১০১টি দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত দাবি করে এককভাবে প্রতীকী অনশন করেন বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. এম আবদুল আলীম। ইতোমধ্যে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর মধ্যে বেশ কিছু অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে ইউজিসি ও তদন্ত কমিটি।
Discussion about this post