শিক্ষার আলো ডেস্ক
শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ ঈদের আগেই পূর্ণাঙ্গ উৎসবভাতা প্রদানসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদ। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্শেলনে বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. নূর হোসেন বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যসহ বিভিন্ন অবমূল্যায়নের অবসান এবং শিক্ষাকে বৈশ্বিক উপযোগী টেকসইভিত্তি দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ দাবিগুলো জানিয়ে আসছি।’
‘এমপিওভুক্ত বেসরকারি কলেজে সরকারি কলেজের শিক্ষকদের অধ্যক্ষ পদে প্রেষণে দায়িত্ব দেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং যেসব এমপিওভুক্ত কলেজের শিক্ষকদের অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাদেরকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। মাউশি ও শিক্ষা বোর্ডসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সব প্রতিষ্ঠানে সরকারি শিক্ষকদের মতো যোগ্যতার ভিত্তিতে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনার্স-মাস্টার্সের শিক্ষকসহ সব স্তরের নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে হবে। প্রভাষকদের ১২ ও ১৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকা সাপেক্ষে পূর্বের ন্যায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিয়ে অধ্যক্ষ নিয়োগ জটিলতা দূর করতে হবে। শূন্যপদের বিপরীতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলি এবং অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের পর্যাপ্ত ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। মাধ্যমিক বিদ্যালয় উচ্চমাধ্যমিকে উন্নীত হলে অধ্যক্ষদের পঞ্চম গ্রেডে বেতন দিতে হবে। অধ্যক্ষসহ সব শিক্ষককে ছয় মাসের বেশি সময় সাময়িক বরখাস্ত করে রাখা যাবে না মর্মে হাইকোর্টের রায় অনুসারে অতিদ্রুত সরকারি গেজেট প্রকাশ করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, অধ্যক্ষ এস এম একরামুল হক, মো. আবদুর রউফ, দিলারা খানম, মো. আব্দুল মালেক, মো. আখতারজ্জামান, মো. নজরুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা খোশনবীশ, মো. হারুনুর রশিদ, মো. বশির আহমেদ, রনজিত কুমার বিশ্বাস, আবদুর রাজ্জাক, মো. জহিরুল্লাহসহ প্রমুখ।
Discussion about this post