নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্নাসে তৃতীয় রিলিজ স্লিপের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিচ্ছুরা। আজ রোববার (৬ মার্চ) গাজীপুরে অবস্থিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন করেন তারা।
গত বছরের ১৮ অক্টোবর থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২০-২০২১ সালে অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি কার্যক্রমে প্রথম রিলিজ স্লিপের আবেদন শুরু হয়। শেষ হয় ৩১ অক্টোবর। পরে গত ২৪ নভেম্বর থেকে ২য় রিলিজ স্লিপের আবেদন শুরু হয়। এ ধাপের আবেদন শেষ হয়েছে গত ৬ ডিসেম্বর। ২০২১ সালের ২১ অক্টোবর থেকে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ভর্তি কার্যক্রম শুরু, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন শেষ। দেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্নাতক ভর্তিতে দুইয়ের অধিক মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় দশম মেধাতালিকাও দিয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রায় ৪১ হাজার আসন শূণ্য থাকার পরও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় রিলিজ স্লিপ দিতে বাঁধা কোথায় ?
ভর্তিচ্ছুরা বলছেন, ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অটোপাস দেওয়া হয়েছে। এজন্য জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। যার কারণে তুলনামূলক কম জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীরা দুই রিলিজ স্লিপে আবেদন করেও আসন পাচ্ছেন না। তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় রিলিজ স্লিপের পাশাপাশি আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করলে এ সমস্যা আর থাকবে না।
অন্যদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বলছে , ভর্তিকৃত প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থ ীদের সামনে পরীক্ষা শুরু হবে। এখন যদি নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় তাহলে শুরুতে ভর্তি হওয়াদের সঙ্গে তাল মেলাতে পারবেনা। তাই তারা আসন ফাঁকা থাকলেও শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবেনা।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) পড়ানো হয় ৮৮১টি কলেজে। এর মধ্যে সরকারি কলেজ ২৬৪টি এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৬১৭টি। স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে প্রথম বর্ষে ভর্তিযোগ্য মোট আসন আছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৫টি। আর ডিগ্রিতে (পাস কোর্স) প্রথম বর্ষে ভর্তিযোগ্য আসন আছে ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৯০টি। সারা দেশের ১ হাজার ৯৬৯টি কলেজে ডিগ্রি কোর্সে পড়ানো হয়। ২০২০-২০২১ সালে ভর্তি হয়েছেন ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৭৮৬ শিক্ষার্থী। আসন শূণ্য রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪১ হাজার। ইউজিসির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯-২০২০ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান), স্নাতক (পাস), কারিগরি ও সমমান পর্যায়ে প্রথম বর্ষে আসন শূণ্য ছিলো ২৪ হাজার ৬৯৪টি।
Discussion about this post