শিক্ষার আলো ডেস্ক
বিমান ও মহাকাশ গবেষণার জন্য দেশের প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমআরএএইউ) চলতি বছরেই মহাকাশ এবং স্যাটেলাইটের ওপর প্রথম স্নাতক ডিগ্রি চালু করবে।
গতকাল রবিবার (৬ মার্চ) এসব প্রোগ্রাম পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা বাড়াতে এটুআই, পিকো-স্যাটেলাইট কোম্পানি এবং দ্যা ব্রিজ ২ বাংলাদেশ (বিটুবি) এর সঙ্গে বিএসএমআরএএইউ স্যাটেলাইট এবং রকেট প্রযুক্তি সহায়তা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টি স্পেস সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং এবং স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং নামক এ প্রোগ্রামটি চালু করতে যাচ্ছে এ বছরেই। তার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগীতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এয়ার কমোডর মো. আদুল্লাহ আল মাহবুব এ সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল) এর বিএসসিএলের চেয়ারম্যান ডা. শাজাহান মাহমুন ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এয়ার ভাইস মার্শাল মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
এটুআইয়ের পলিসি উপদেষ্টা অনির চৌধুরী, বিটুবি-এর চেয়ারম্যান আজাদুল হক, বাংলাদেশ চেম্বার অফ ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর নাজমুল উলা, পিকো-স্যাটেলাইট কোম্পানির প্রতিনিধিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্রের লয়োলা মেরিমাউন্ট ইউনিভার্সিটি। এছাড়া, অনুষ্ঠানে বিএসএমআরএইউ এর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি হিসাবে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তার বক্তব্যে স্যাটেলাইট ও রকেট প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গবেষণাকে এগিয়ে নিতে বিএসএমআরএএইউ-এর অগ্রণী উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বিএসএমআরএএইউ-এর গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে পরীক্ষাগার স্থাপনে সম্ভাব্য সহায়তার আশ্বাস দেন।
উপাচার্য তার সমাপনী বক্তব্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান। বিমান, মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের অগ্রগতি টিকিয়ে রাখতে এবং সম্প্রসারণে এই ধরনের সহযোগিতা ফলপ্রসূ হবে বলে তিনি আশাবাদ পুনর্ব্যক্ত করেন। এটি এমন একটি কাজ যা বিএসএমআরএইউ ব্যর্থতার কোনো চিহ্ন ছাড়াই অনুসরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর মাধ্যমে অর্জিত সফলতা পরবর্তী প্রজন্মের বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক, পেশাদার এবং উৎসাহী মানুষ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, পিকো-স্যাটেলাইট কোম্পানির সাথে সহযোগিতার উদ্দেশ্য হল ন্যানো এবং পিকোস্যাটেলাইট তৈরির জন্য বিএসএমআরএএইউতে একটি ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ খাতের বিকাশ সাধন করা। এই প্রকল্পটি দেশ-বিদেশের এভিয়েশন এবং এরোস্পেস উৎসাহীদের উৎসাহিত করবে এবং বাংলাদেশের মহাকাশ শিল্পের বিকাশে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রকল্পের স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য হল বিএসএমআরএএইউ ইনকিউবেশন সেন্টারে একটি কিউবস্যাট তৈরি করা এবং পরবর্তীতে বাণিজ্যিক উপায় ব্যবহার করে নিম্ন আর্থ অরবিটে কিউবস্যাট চালু করা। ব্রিজ ২ বাংলাদেশ (বিটুবি) প্ল্যাটফর্ম বিএসএমআরএএইউ বিশ্ববিদ্যালযয়ের সাথে সহযোগিতা করার জন্য বিশ্বজুড়ে কর্মরত বাংলাদেশি পণ্ডিত এবং বিজ্ঞানীদের সাথে সংযোগ স্থাপনের অনুমতি দেবে।
Discussion about this post