নিজস্ব প্রতিবেদক
ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রমে কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সমপর্যায়ের সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্ষুদে ডাক্তার দিয়ে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে আগামী ২৭ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
সোমবার (৭ মার্চ) নতুন সময় জানিয়ে পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মো. বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এর আগে এ কার্যক্রম হওয়ার কথা ছিল গত ২২ থেকে ২৮ জানুয়ারি। তবে করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টেকনিক্যাল কমিটির সভায় ২০ মার্চ থেকে ‘জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ’ পালন হবে। এ ছাড়া ওমিক্রন সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে স্থগিত হওয়া ‘ক্ষুদে ডাক্তার কর্তৃক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ কার্যক্রম ২৭ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ক্ষুদে ডাক্তার কর্তৃক স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম শুধু ১২-১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থী বা ষষ্ঠ থেকে দশম বা সমপর্যায়ের শ্রেণিতে পরিচালিত হবে।শিক্ষার্থীসহ ১২-১৬ বছর বয়সী বিদ্যালয়গামী ও বিদ্যালয় বহির্ভুত সব শিশুকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির মাধ্যমে কৃমিনাশক ওষুধ সেবন করানো হবে। পথশিশু, কর্মজীবী শিশু, বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থী এর আওতায় থাকবে।
এ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নে মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্ষুদে ডাক্তারের দল গঠন করা হবে। প্রাথমিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা শিক্ষার্থীদের ওজন, উচ্চতা ও দৃষ্টি শক্তি পরীক্ষা করে নানা বিষয় গাইড শিক্ষকের নজরে আনবে।
বিজ্ঞপ্তি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
Discussion about this post