শিক্ষার আলো ডেস্ক
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ওয়ালিদ নিহাদকে রামদা ঠেকিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগের চার নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিকেলে ৩টায় শুরু হওয়া দীর্ঘ ৭ ঘণ্টার মিটিংয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর সভাপতিত্ব করেন।বহিষ্কার চার শিক্ষার্থী হলেন নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের সামিউল হক হিমেল, ফোকলোর বিভাগের আবু নাঈম আব্দুল্লাহ, লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের মোমেন সরকার এবং লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের তানভির আহমেদ তুহিন।
তাঁদের কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়েও কারণ দর্শানো নোটিশ দিতে বলা হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে হবে। এ ছাড়া তাদের নিজ নিজ হলের সিট বাতিল করার সুপারিশ করেছে কমিটি।
পাশাপাশি স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের আবু সোলায়মান নাঈমকে নিয়ে সতর্কীকরণ পত্র দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর হলের সিট বাতিল করা হয়েছে। লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালন বিদ্যা বিভাগের সারজীল হাসান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মো. পলাশ, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস সায়েন্সের জোবায়ের আহমেদ সাব্বিরের বিষয়ে সতর্কীকরণ পত্র ইস্যু সুপারিশ করেছে কমিটি।
এ ছাড়া হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের মো. ছনিক মিয়া, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার মো. মোজাহিদ হোসেন সজিব, পপুলেশন সায়েন্সের মো. সৌরভ হোসেনের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৩২৪ নম্বর কক্ষের বরাদ্দ করা আসন বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।
সভা শেষে উপাচার্য সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে নিরপেক্ষতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোনো দল বিবেচনা করিনি, ন্যায়বিচারের প্রশ্নে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি আমরা। আইনত আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাদের। সব সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনে হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়ালিদ নিহাদকে রামদা ঠেকিয়ে নির্যাতন করা হয়। ছাত্রলীগের রাজনীতি না করায় এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে আন্দোলন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
Discussion about this post