অনলাইন ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২১ মার্চ দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। করোনার মধ্যে গত দুই বছরে ঢাকার বাইরে সশরীরে কোনও প্রকল্প উদ্বোধন করতে যাননি প্রধানমন্ত্রী। তাই প্রধানমন্ত্রীর পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র সফর বিশেষ তাৎপযপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। একই দিন কলাপাড়ায় একটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা করারও কথা রয়েছে।
পায়রা দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র। কয়লাচালিত কেন্দ্রটি চীন ও বাংলাদেশ যৌথভাবে নির্মাণ করেছে। কেন্দ্র নির্মাণে অর্থায়ন করেছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। পায়রা বিদ্যুৎ হাবে রাষ্ট্রীয় কোম্পানি নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চীনের ন্যাশনাল মেশিনারি এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট কোম্পানির (সিএমসি) ৫০ শতাংশ করে মালিকানা রয়েছে।
কেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট উৎপাদন শুরু করে। এর আগে ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি কেন্দ্রটির ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিট উৎপাদন শুরু করে। তবে এখন পর্যন্ত এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়নি।
নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী এ এম খোরশেদুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে কেন্দ্রটি সরাসরি উদ্বোধনে আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
সূত্রমতে, কেন্দ্রটি আরও আগে উদ্বোধনের কথা থাকলেও করোনার কারণে তা কয়েক দফা পিছিয়ে যায়। পরে স্বাধীনতার মাস মার্চে কেন্দ্রটি উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত হয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের দিন বিশেষ ক্রোড়পত্রও প্রকাশ করবে বিদ্যুৎ বিভাগ।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে পায়রা এলাকায়। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। করোনার কারণে যাতে বেশি লোক সমাগম না হয় সেটা মাথায় রেখে কার্যক্রম ঠিক করা হচ্ছে।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র জানায়, কেন্দ্রটিতে শোভাবর্ধনের কাজ চলছে। প্রকল্প পরিচালক শাহ আব্দুল মাওলা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমাদের প্রাথমিক একটি তারিখ জানানো হয়েছে। সে অনুযায়ী সাইট গোছাচ্ছি। আগামী ২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী সরাসরি কেন্দ্র উদ্বোধন করতে পারেন।
২৪৮ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দেশের প্রথম উৎপাদনে আসা মেগা প্রকল্প। কেন্দ্রটি সরকারের অগ্রাধিকার ১০ প্রকল্পর তালিকায় না থাকলেও সবার আগে কাজ শেষ করে নজির স্থাপন করেছে।
Discussion about this post