আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের
স্বাধীনতার ৫০ বছরে নারীশিক্ষায় যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। সরকারি সুযোগ-সুবিধা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি, অভিভাবকদের সচেতনতা এবং শিক্ষার মর্যাদা প্রশ্নে মেয়েদের অংশগ্রহণের হার দিনদিন বাড়ছে। প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ, মাদ্রাসা– সব জায়গাতে পুরুষের তুলনায় নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। উচ্চশিক্ষায় ছেলেদের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও নারীদের অংশগ্রহণ এখানে বাড়ছে। শিক্ষকতা পেশায়ও এগিয়ে যাচ্ছেন নারীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, নারীদের কাছে শিক্ষাকে আগ্রহী করে তুলতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে, প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। সরকারের এমন পদক্ষেপের কারণে নারীরা পড়াশোনায় আগ্রহী হচ্ছেন। শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হওয়ায় নারীরা বেশ এগিয়েও যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমার প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে বলব, এখন কোনো কোনো বিভাগে ৫০ শতাংশের বেশি নারী শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদগুলোর ডিনস অ্যাওয়ার্ডেও এখন নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। কখনও কখনও দেখি নারীরাই বেশি অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন। তার মানে তাদের পরীক্ষার ফল ভালো হচ্ছে। ফলে শিক্ষকতা পেশায়ও তাদের সংখ্যা বাড়ছে। এটা ইতিবাচক দিক। শুধু স্কুল-কলেজ নয়, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মো. মজিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাষ্ট্রকাঠামোতে লিঙ্গ বৈষম্য কমেছে। পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মতো আমাদের দেশে নারীদের বোরকায় আবদ্ধ করে রাখা হয় না। এছাড়া উপবৃত্তি নারীশিক্ষার অগ্রগতিতে বিরাট ভূমিকা রাখছে।
প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ৫১ শতাংশ। দুই কোটি ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৬৯১ শিক্ষার্থীর মধ্যে নারী শিক্ষার্থী এক কোটি নয় লাখ ৯১ হাজার ৪৫১ জন। প্রাক-প্রাথমিকে ৫০ দশমিক ৩০ শতাংশ নারী। ৩৯ লাখ ৪৭ হাজার ৮৫২ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৯ লাখ ৮৩ হাজার ৮৯২ জনই নারী
তিনি বলেন, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও মেয়েদের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। যেটা ১৫-২০ বছর আগে ততটা ছিল না। তখন লেখাপড়া ছিল শুধুমাত্র সার্টিফিকেট অর্জনের জন্য। চাকরির ক্ষেত্রে এখন নারীদের বাধা নেই। নারীশিক্ষার অগ্রগতিতে সরকারের একটা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আছে। রাষ্ট্রকাঠামোতে নারীদের সুযোগ দেওয়ার ফলে তারা এখন স্বামীদের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে অবদান রাখছে।
বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ৫১ শতাংশ। দুই কোটি ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৬৯১ শিক্ষার্থীর মধ্যে নারী শিক্ষার্থী এক কোটি নয় লাখ ৯১ হাজার ৪৫১ জন। প্রাক-প্রাথমিকে ৫০ দশমিক ৩০ শতাংশ নারী। ৩৯ লাখ ৪৭ হাজার ৮৫২ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৯ লাখ ৮৩ হাজার ৮৯২ জনই নারী। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এনজিও পরিচালিত শিক্ষাকেন্দ্রগুলোতে ৫২ দশমিক ৯০ শতাংশ। সবচেয়ে কম ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোতে ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ। প্রাথমিকের সমাপনী পরীক্ষায় বরাবরই পুরুষের চেয়ে নারী শিক্ষার্থীরা এগিয়ে ছিল।
মাধ্যমিক স্তরে ১৯৯৮ সালের পর থেকে সংখ্যার দিক দিয়ে এগিয়ে আছে নারীরা। এ স্তরে ৫৪ দশমিক ৮৬ শিক্ষার্থীই নারী। এক কোটি দুই লাখ ৫২ হাজার ১২৬ জনের মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ৫৬ লাখ ২৪ হাজার ১৮৬ জন।
কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ৫০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। চার হাজার ৬৯৯টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ইন্টারমিডিয়েট কলেজ, ডিগ্রি কলেজ, অনার্স কলেজ ও মাস্টার্স কলেজে ৪৬ লাখ ৩৫ হাজার ১২১ শিক্ষার্থীর মধ্যে নারী ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৭৯ জন।
মাদ্রাসায় ৫৫ দশমিক ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নারী। ৩৯ লাখ ১৫ হাজার ১৩৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ২১ লাখ তিন হাজার ৫৭২ জন। এর মধ্যে দাখিল স্তরে ৬০ দশমিক ৪৭ শতাংশ, আলিমে ৫৬ দশমিক ৩০ শতাংশ, ফাজিল পর্যায়ে ৫০ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং কামিলে ৩৩ দশমিক ৪১ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী রয়েছেন।
প্রফেশনাল ১৩ ধরনের প্রতিষ্ঠানে (মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিট, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজ অ্যান্ড ইনস্টিটিউশন, হোমিওপ্যাথিক কলেজ, ইউনানি/আয়ুর্বেদিক, নার্সিং ইনস্টিটিউট, হেলথ টেকনোলজি, টেক্সটাইল টেকনোলজি, লেদার টেকনোলজি, ল অ্যান্ড আর্ট কলেজ, অ্যাগ্রিকালচার কলেজ, আর্মড ফোর্সেস অ্যান্ড আর্মি মেডিকেল কলেজ এবং লাইব্রেরি সায়েন্স) নারী শিক্ষার্থী ৫৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। এক লাখ ৭৮ হাজার ৯২৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে নারী এক লাখ এক হাজার ৮০২ জন।
টিচার এডুকেশনের (পিটিআইএস, টিটিসি, টিটিটিসি, ভিটিটিআই, ফিজিক্যাল এডুকেশন কলেজ এবং বাংলাদেশ মাদরাসা’স টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট-বিএমটিটিআই) সাত ধরনের ২২৩ প্রতিষ্ঠানে ট্রেইনি/শিক্ষার্থী আছেন ৩২ হাজার ১৯৩ জন। এর মধ্যে নারী ৪৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
তবে উচ্চশিক্ষা তথা বিশ্ববিদ্যালয় ও টেকনিক্যাল পড়াশোনায় নারীরা এখনও ছেলেদের চেয়ে পিছিয়ে আছে। আশার কথা হলো, এসব স্তরে নারীদের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।
টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনালে এখন ২৭ দশমিক ২৪ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী। ২০০১ সালে এ হার ছিল ২৪ দশমিক ৯২ শতাংশ। পলিটেকনিক, টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক, গ্রাফিক আর্টস, সার্ভে ইনস্টিটিউট, টিটিসি, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, টেক্সটাইল ভোকেশনাল, অ্যাগ্রিকালচারাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, মেরিন টেকনোলজি, এসএসসি ভোকেশনাল (ইনডিপেন্ডেন্ট), এইচএসসি ভোকেশনাল/বিএম (ইন্ডিপেন্ডেন্ট), মেডিকেল টেকনোলজি, মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস), এসএসসি ভোকেশনাল (এটাচড) এবং এইচএসসি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (এটাচড)- সাত হাজার ২৫৯টি প্রতিষ্ঠানের ১১ লাখ ১৮ হাজার ৩৩৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে নারী শিক্ষার্থী তিন লাখ চার হাজার ৬৮২ জন।
অ্যানুয়াল এডুকেশনাল সার্ভে (এইএস) অনুযায়ী, দেশে বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১৫৩টি। এর মধ্যে ৪৬টি সরকারি, ১০৭টি বেসরকারি এবং দুটি আন্তর্জাতিক। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থী আছে ৩৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। ১১ লাখ ৭২ হাজার ৯০১ শিক্ষার্থীর মধ্যে নারী চার লাখ ১২ হাজার ৭৮৯ জন।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ হার কিছুটা বেশি। এখানে ৩৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ নারী পড়াশোনা করছেন। মোট আট লাখ ২০ হাজার ৪৩০ শিক্ষার্থীর মধ্যে নারী তিন লাখ ১০ হাজার ৬২২ জন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ নারী পড়াশোনা করছেন। মোট তিন লাখ ৪৯ হাজার ১৬০ শিক্ষার্থীর মধ্যে নারী এক লাখ এক হাজার ২১৩ জন। আন্তর্জাতিক দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন ২৮ দশমিক ৮১ শতাংশ নারী। তিন হাজার ৩১১ শিক্ষার্থীর মধ্যে নারী ৯৫৪ জন।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ নারী পড়াশোনা করছেন। মোট আট লাখ ২০ হাজার ৪৩০ শিক্ষার্থীর মধ্যে নারী তিন লাখ ১০ হাজার ৬২২ জন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ নারী পড়াশোনা করছেন। মোট তিন লাখ ৪৯ হাজার ১৬০ শিক্ষার্থীর মধ্যে নারী এক লাখ এক হাজার ২১৩ জন
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৯ হাজার ৭২৩ জন অর্থাৎ ১২ দশমিক ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসিক সুবিধা পান। এর মধ্যে ৪০ হাজার ৩৯২ জন অর্থাৎ ৪০ দশমিক ৫০ শতাংশ নারী।
ইংলিশ মিডিয়ামের ১৪২টি প্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী ৭৫ হাজার ৮০০ জন। তাদের মধ্যে ৩২ হাজার ২৭০ জন অর্থাৎ ৪২ দশমিক ৫৭ শতাংশ নারী।
শিক্ষকতা পেশায় নারী
প্রাথমিকে শিক্ষকতা পেশায় পুরুষের চেয়ে এক ধাপ ওপরে নারীরা। প্রাথমিকের শিক্ষকদের মধ্যে ৬৪ দশমিক ২০ শতাংশই নারী। মোট তিন লাখ ৬৭ হাজার ৪৮০ শিক্ষকের মধ্যে নারী দুই লাখ ৩৫ হাজার ৯১১ জন।
মাধ্যমিকে নারী শিক্ষক রয়েছেন ২৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ। মোট দুই লাখ ৫২ হাজার ৫০৫ শিক্ষকের মধ্যে নারী ৭২ হাজার ৯৬০ জন। ২০০৫ সালে এ হার ছিল ২০ দশমিক ২৮ শতাংশ। কলেজ পর্যায়ে ২৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ নারী শিক্ষক রয়েছেন। এক লাখ ২৮ হাজার ৬৪১ শিক্ষকের মধ্যে নারী ৩৪ হাজার ৩৯২ জন।
প্রাথমিকের শিক্ষকদের মধ্যে ৬৪ দশমিক ২০ শতাংশই নারী। মোট তিন লাখ ৬৭ হাজার ৪৮০ শিক্ষকের মধ্যে নারী দুই লাখ ৩৫ হাজার ৯১১ জন
মাদ্রাসায় ১৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ নারী শিক্ষক। এক লাখ ১২ হাজার ৬৯১ শিক্ষকের মধ্যে নারী শিক্ষক ১৯ হাজার ৯০ জন। এর মধ্যে দাখিল স্তরে ১৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ, আলিমে ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ, ফাজিল পর্যায়ে ১৬ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং কামিলে ১৭ দশমিক ৬২ শতাংশ নারী শিক্ষক রয়েছেন।
প্রফেশনাল ১৩ ধরনের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক রয়েছেন ১৫ হাজার ৮০৩ জন। এর মধ্যে নারী ৪৫ দশমিক ৩০ শতাংশ অর্থাৎ সাত হাজার ১৫৮ জন। টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনালের সাত হাজার ২৫৯টি প্রতিষ্ঠানে ২০ দশমিক ২০ শতাংশ নারী শিক্ষক। মোট ৫৪ হাজার ২৮ শিক্ষকের মধ্যে নারী ১০ হাজার ৯১৫ জন।
১৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ২৮ দশমিক ১১ শতাংশ নারী শিক্ষক। মোট ৩১ হাজার ৭৫২ শিক্ষকের মধ্যে নারী আট হাজার ৯২৭ জন। সরকারিতে এ সংখ্যা ২৬ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং বেসরকারিতে ৩০ দশমিক ৩০ শতাংশ। দুটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনোটিতে নারী শিক্ষক নেই।
ঢাবির রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা ও শিক্ষকতায় পুরুষের চেয়ে নারীরা পিছিয়ে থাকলেও দিনদিন এ সংখ্যা কিন্তু বাড়ছে। মোট সংখ্যার ওপর প্রভাব ফেলতে হয়ত আরও সময় লাগবে। টেকনিক্যাল দিকগুলোতে উন্নত বিশ্বেও নারীদের সংখ্যা কম। সে তুলনায় আমরা অনেক ভালো অবস্থানে আছি। এটা আমাদের আশা জাগায়।
ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মো. মজিবুর রহমান বলেন, প্রাথমিক-মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকে নারীরা পুরুষের তুলনায় এগিয়ে। উচ্চশিক্ষায় সে হার আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। তবে বিদ্যমান ধারা অব্যাহত থাকলে ১০-১৫ বছর পর উচ্চশিক্ষায়ও হয়ত নারীরা পুরুষের চেয়ে এগিয়ে যাবেন।সৌজন্যে-ঢাকাপোষ্ট
Discussion about this post