খেলাধূলা ডেস্ক
খালেদ মাহমুদ সুজন এবং সাকিব আল হাসানের সম্পর্কের রসায়নটা দুর্দান্ত। সর্বশেষ বিপিএলেও একই দলের হয়ে শিরোপার লড়াইয়ে তারা মাঠে নেমেছিলেন। বরিশাল ফরচুনের হয়ে সাকিব ছিলেন অধিনায়ক, সুজন ছিলেন প্রধান কোচের দায়িত্বে।
ফলে পুরনো সম্পর্কের খাতিরে বরাবরই একে অন্যকে সাপোর্ট দিতে দেখা গেছে। তবে সাম্প্রতিক ইস্যুতে মনে হচ্ছে এবার আর সাকিবের পাশে নেই সুজন! দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়া নিয়ে সাকিবের বক্তব্যে ভীষণ খেপেছেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট প্রধান। মঙ্গলবার তো সাকিবকে স্পষ্ট করে অনেক কিছুই জানিয়ে দিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সুজন বলেছেন, ‘এখন ফুল স্টপের সময় চলে এসেছে। দ্যাটস এনাফ। আপনি বিসিবিকে ডিকটেক্ট করতে পারেন না। আপনি বলতে পারেন না যে আমি খেলবো…খেলবো না। আপনি যদি খেলতেই চান, তাহলে ঠিকমতো খেলুন। যদি খেলতে না চান তাহলে বলে দিন। যদি ব্রেক চান তাহলে পুরোপুরি ব্রেক নিন। কেউ আপনাকে আটকাবে না। প্রেসিডেন্টও বলতে চান এভাবে। হয়তো বা উনি একটু আস্তে বলেছেন, আমি একটু উচ্চস্বরে।’
দুই দিন আগে সাকিব বলেছেন, বর্তমানে মানসিক ও শারীরিক যে অবস্থানে আছেন, তাতে ক্রিকেট খেলাটা সম্ভব নয়। ফলে কিছু দিনের জন্য ক্রিকেট থেকে বিরতিতে যেতে চান বাঁহাতি অলরাউন্ডার। অথচ তাকে রেখেই টেস্ট ও ওয়ানডে দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। ফলে বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা না করেই দেশ ছাড়ার আগে মিডিয়ার সামনে কথা বলে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের তোপের মুখে পড়েছেন। মঙ্গলবার পড়লেন ঘরোয়া ক্রিকেটে সাকিবের দীর্ঘদিন কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের রোষানলে।
সাকিবের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা উল্লেখ করে সুজন বলেছেন, ‘নিশ্চিতভাবেই শেষ কল বিসিবির। বিসিবির প্রোডাক্ট ওরা, বিসিবি ওদের প্রোডাক্ট না। বিসিবি কোনও ব্যক্তির জন্য না, বিসিবির জন্যই ওরা। নিশ্চিতভাবেই ওরা বাংলাদেশ ক্রিকেটের মেইন স্টেকহোল্ডার। কিন্তু এই স্টেকহোল্ডারদের জন্য তো বিসিবির অনেক ইনভেস্টমেন্ট ছিল। অনূর্ধ্ব-১৪, ১৫, ১৭…তাদের বিল্ডআপ করা; এই করা সেই করা। তাদের পেছনে তো বিসিবি অনেক খরচ করেছে সেই সময়। বিসিবি তো তাদের অভিভাবক, আমাদের সবার অভিভাবক। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ওপর আমরা কেউ না, তারাও না।’
Discussion about this post