শিক্ষার আলো ডেস্ক
আবাসিক হলগুলোতে ইন্টারনেটের ধীরগতির জন্য প্রায় সমালোচিত হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন। একাধিক রাউটার বসিয়েও মিলছে না সুফল। তাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও অন্যান্য ভবনে ইন্টারনেট সরবরাহে বিকল্প অবকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা করছে আইসিটি সেন্টার। তাদের দাবি ওয়াই-ফাই হলের মতো জনাকীর্ণ জায়গার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নয়। সেখানে ওয়াই-ফাইয়ের পরিবর্তে ল্যান্ড এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ল্যান সংযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
রাবি শিক্ষার্থীদের জন্য ১৮টি আবাসিক হল রয়েছে। এর মধ্যে ছেলেদের ১১টি এবং মেয়েদের সাতটি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাড়া বাকিগুলোতে প্রতি মেঝেতে মাত্র দুটি করে রাউটার বসিয়ে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হচ্ছে। এতে দুই সিট বা এক সিট বিশিষ্ট কক্ষগুলোতে কিছুটা ধীরগতিতে ইন্টারনেট চললেও চার জনের কক্ষে সিগন্যাল পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
এদিকে বঙ্গবন্ধু হলের প্রতিটি কক্ষের সামনে রাউটার বসানো হলেও আশানুরূপ গতি পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। এর কারণ হিসেবে আইসিটি সেন্টারের কর্মকর্তারা বলছেন, অল্প দূরত্বে অতিরিক্ত রাউটার স্থাপন করা হলে সিগন্যালগুলো ক্রস করে। এতে ইন্টারনেটের গতি কমে আসে।
এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টার। তারা লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক সংযোগ পদ্ধতিতে ইন্টারনেট সরবরাহ করতে চান।
সাধারণত ল্যান সংযোগ থেকে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযুক্ত করার বিশেষ পোর্ট থাকে। মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা সে সুযোগ পাচ্ছেন না। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা ইচ্ছে করলে রুমে সরবরাহ করা সংযোগের সাথে রাউটার স্থাপন করে মোবাইল ফোনেও ব্যবহার করতে পারবেন।
রুমে শিক্ষার্থী প্রতি একটি করে সংযোগ দেওয়া থাকবে, সেখান থেকে মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহারকারীরা নিজের সুবিধামতো ব্যবহার করতে পারবেন। তবে রাউটার ব্যবহার করতে চাইলে সেটার ব্যয়ভার বহন করতে হবে শিক্ষার্থীদেরকেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সরবরাহ করবে কি না সে সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি।
আইসিটি সেন্টার সূত্রে জানা যাচ্ছে, বেসরকারি ইন্টারনেট সরবরাহ প্রতিষ্ঠান বিডিরেনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকয়টি হল ও প্রশাসনিক ভবনে ইতোমধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে। সপ্তাহ খানেক আগেই শেষ হয়েছে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি সম্ভাব্য প্রকল্প প্রস্তাব জমা দিতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর সে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে। সেখানে পাস হলেই কাজ শুরু করতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. বাবুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) বলেছিলাম এখানে ইন্টারনেট সমস্যার টেকসই সমাধান করা যাচ্ছে না। বিডিরেন জরিপ করে সম্ভাব্যতা যাচাই করে গেছে। আমরা খুব দ্রুত ইউজিসিতে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠাব।
Discussion about this post