অনলাইন ডেস্ক
তরুণ প্রজন্মের জন্য প্রতি বছর বিশেষভাবে আয়োজিত হয় ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (আইসিপিসি)। এই আয়োজনটির ৪৫তম আসর ‘আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনাল’ এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশে।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানজনক একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা এটি। আইসিপিসি আয়োজনের মূল উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের। বর্তমানে এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে আইসিপিসি ফাউন্ডেশন। আইসিপিসি এর ৪৫তম আসরের আয়োজক বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এ প্রোগ্রাম আয়োজনের গ্লোবাল হোস্ট ‘আইসিপিসি ফাউন্ডেশন’, অ্যাকাডেমিক হোস্ট ‘ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক’, বাংলাদেশ এবং সহ-আয়োজক হিসেবে কাজ করছে ‘বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল’।
এই আয়োজনকে ঘিরে বিসিসি মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ার-এর বিসিসি অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে, যেখানে ‘আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনাল ঢাকা ২০২২’ এর হোস্ট কান্ট্রি হিসেবে বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। এই আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, আইসিপিসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. বিল পাউচার, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান এবং আইসিপিসির উপনির্বাহী পরিচালক ড. জেফ ডোনাহু। এছাড়া, অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী মেধা দিয়ে বিশ্বকে জয় করতে হবে উল্লেখ করে বলেন, ‘তরুণদের প্রোগামিংয়ে উৎসাহিত করতে পারলে সবকিছু ডিজিটাল করতে খুব একটা সময় লাগবে না। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় মেধার কোনও বিকল্প নেই। মেধাকে কাজে লাগিয়ে জয় করতে হবে এ বিপ্লবকে।’ পলক তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে বলেন, ‘সমস্যা সৃষ্টিকারী না হয়ে সমস্যা সমাধানকারী হিসেবে নিজেদের তৈরি করতে হবে। এর মাধ্যমে নিরাপদ বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব।’ প্রোগ্রামিং বিশ্ব পরিবর্তনের হাতিয়ার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইংরেজি, গণিত-সহ সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকেই প্রোগ্রামিং শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’
এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ এই ইভেন্টের আয়োজন করছে এবং চীন, জাপান এবং থাইল্যান্ডের পর বাংলাদেশ এশিয়ার চতুর্থ দেশ— যারা এই ইভেন্টের আয়োজক হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ভাইস চ্যান্সেলর থাকাকালীন ঢাকায় আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনাল আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। সেজন্য ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক এই ইভেন্টের আয়োজক প্রতিষ্ঠান হয়েছে।
এ বছর ৭৫টি দেশ থেকে প্রায় ১৫০টি দল এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত রাউন্ডে অংশ নিতে যাচ্ছে। ১৫০ দলে প্রায় ৬০০ প্রতিযোগী অংশ নেবেন। এছাড়া, আইসিপিসির ৪৫তম আসরকে কেন্দ্র করে প্রতিযোগী ছাড়াও কর্মকর্তাসহ অন্তত এক হাজারেরও বেশি বিদেশি অতিথির আগমন আশা করছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। আগামী ৬ থেকে ১১ নভেম্বর ৬ দিনব্যাপী ঢাকার বসুন্ধরায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) তে ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে।
Discussion about this post