নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের ৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ শ্রেণিতে নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রমের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম (পাইলটিং) চলছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে পঠন-পাঠন শিশু-কিশোরদের জন্য আনন্দময় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পরীক্ষার চাপে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানালেন, নতুন কারিকুলামে পরীক্ষার সংখ্যা কমবে। আর এতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাভীতি দূর হবে বলে মনে করছেন তিনি।
শনিবার (১২ মার্চ) রাজধানীর টিকাটুলিতে শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষা নির্ভর মূল্যায়ন থেকে বের হয়ে আসা যাবে। প্রতিদিনের লেখাপড়া মূল্যায়ণ প্রতিদিনই হবে। বছর শেষে সীমিত আকারে পরীক্ষা হবে, তবে সারা বছরের মূল্যায়ন সমন্বয় করে চূড়ান্ত মূল্যায়ন করা হবে।’
এর আগেই জানানো হয়েছে, নতুন কারিকুলামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দুদিন ছুটি থাকবে। আগে শুধু শুক্রবার ছিল, নতুন কারিকুলামে শনিবারও ছুটি থাকবে।
এসময় তিনি আরও জানান, সীমিত আকারে শ্রেণি পাঠদান আর থাকছে না। আগামী ১৫ মার্চ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের সব বিষয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান (ক্লাস) শুরু হবে।
মন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে প্রায় দুই বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো। সর্বশেষ গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরাসরি শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হলেও দুই দফায় ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি পাঠদান বন্ধ রাখা হয়। সর্বশেষ ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয় সীমিত আকারে। আর ২ মার্চ থেকে সীমিত আকারে প্রাথমিক স্তরের শ্রেণি পাঠদান শুরু হয়।
কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল করিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা লীলা নাগের নামে নামকরণকৃত নতুন ভবন উদ্বোধন করেন।
Discussion about this post