খেলাধূলা ডেস্ক
দীর্ঘ ২৪ বছর পর জাতীয় ক্রীড়ানীতি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ১৯৯৮ সালে প্রণয়ন করা হয়েছিল জাতীয় ক্রীড়ানীতি। দেশের খেলাধুলা কিভাবে চলবে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ আছে জাতীয় ক্রীড়ানীতিতে। এই নীতি আরও যুগোপযোগী ও আধুনিক করার লক্ষ্যেই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছে।
জাতীয় ক্রীড়ানীতিতে সংশোধন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন কিভাবে হবে সে জন্য মন্ত্রণালয় গত আগস্টে ১৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিল। করোনার কারণে ওই কমিটি কোনো সভা করতে পারেনি।
কমিটি গঠনের ৬ মাসেরও অধিক সময় পর প্রথম সভা হতে যাচ্ছে মঙ্গলবার। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের (ক্রীড়া) সভাপতিত্বে কমিটির একটি সভা আছে মঙ্গলবার। ওই সভায় জাতীয় ক্রীড়ানীতি নিয়ে পর্যালোচনা হবে।
উল্লেখ, ১৯৯৮ সালে সাভারের বিকেএসপিতে জাতীয় ক্রীড়া সম্মেলন করে সেখান থেকে ক্রীড়া সংগঠকদের মতামত নিয়ে জাতীয় ক্রীড়ানীতি প্রণয়ন করেছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। তারপর দীর্ঘ দুই যুগ এই ক্রীড়ানীতি সংশোধন করা হয়নি। বর্তমান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপির উদ্যোগে জাতীয় ক্রীড়ানীতি সংশোধন হতে যাচ্ছে।
গত আগস্টে ক্রীড়ানীতি প্রণয়ন কমিটি গঠনের মধ্যে দিয়ে এই প্রক্রিয়া শুরু করেছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে গঠিত এ কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (ক্রীড়া-১)।
কমিটির ১৪ জন সদস্য হলেন-ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া), বিকেএসপির পরিচালক (প্রশিক্ষণ), যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (ক্রীড়া), বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, ক্রীড়া সংগঠক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশীদ, ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু, হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনুর, আরচারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল, ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন, ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ, পাক্ষিক ক্রীড়া জগত পত্রিকার সম্পাদক দুলাল মাহমুদ, বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এবং যুব ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আকবর আলী।
Discussion about this post