নিজস্ব প্রতিবেদক
সারাদেশে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য থাকা ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। এর আগে এপ্রিল মাসের পাঁচটি দিনে এই পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। এবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর জানিয়েছে, এপ্রিলের তিন দিনের পাশাপাশি মে মাসের একটি দিনে নেওয়া হবে এই পরীক্ষা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমের সই করা এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত রোববার (১৩ মার্চ) এই আদেশটি জারি করা হয়েছে।
এর আগে, গত ১০ মার্চ জারি করা আদেশে জানানো হয়েছিল, এপ্রিল মাসের ১, ৮, ১৫, ২২ ও ২৯ তারিখে ঢাকায় এই নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে। নতুন আদেশে বলা হয়েছে, এই পরীক্ষা নেওয়া হবে আগামী ৮, ১৫ ও ২২ এপ্রিল এবং ১৩ মে।
এছাড়া, এর আগে নির্ধারিত তারিখগুলোতে সকাল ১০টা ও বিকেল ৩টায় ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। এবারে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত তারিখে বিকেল ৩টা থেকে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের এই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
আদেশে এই পরীক্ষা নেওয়ার জন্য কেন্দ্র নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষদের।
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে রোজা শুরু হওয়ায় ওই মাসের শেষ সপ্তাহে ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের চাপ থাকবে বলে ২৯ এপ্রিলের পরীক্ষাটি নিয়ে আগেই ভোগান্তির আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। শেষ পর্যন্ত ওই তারিখটি পরিবর্তন করা হলো। একইসঙ্গে রোজা শুরুর ঠিক আগে আগে ১ এপ্রিলের পরীক্ষার তারিখটিও বাতিল করা হয়েছে।
সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে সেই পরীক্ষা আর নেওয়া সম্ভব হয়নি। এর মধ্যেই আরও ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক অবসরে যাওয়ায় সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজারে। এই নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে এসব পদ পূরণ করা হবে।
৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিপরীতে সারাদেশে আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী। এখন পর্যন্ত এটিই দেশের সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে। আবেদনের সংখ্যাও সর্বোচ্চ।
আবেদনকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২ লাখ ৪০ হাজার ৬১৯ জন রয়েছে। অন্যান্য বিভাগগুলোর মধ্যে রাজশাহী বিভাগের আবেদনকারীর সংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজার ৪৩০টি। এরপর আবেদনের সংখ্যায় রয়েছে খুলনা বিভাগ। এই বিভাগের ১ ৭৮ হাজার ৮০৩ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন।
Discussion about this post