শিক্ষার আলো ডেস্ক
মাত্র তিন বছর বয়সে টাইফয়েড ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল একাধিকবার। দেখা দেয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। ফলে শারীরিকভাবে বাড়ন্ত জিহাদ হাসানের বাড়ন্তকালও থেমে যায় ৩৬ ইঞ্চিতে। বাঁকা হয়ে আসে হাত-পা, ঘাড়। তবে এমন প্রতিবন্ধকতা মনের জোর কমায়নি উমর ফারুক আর রেহেনা আক্তার দম্পতির। সেই প্রতিবন্ধকতা নিয়েই জিহাদের বাবা-মা লড়েছেন রোজ। সেই লড়ে যাওয়াটা এখন অনেকটাই ক্ষীণ হয়ে এসেছে জিহাদের পরিবারের।যদিও শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে ছিলেন সবার হাসির পাত্র। এখনও বিভিন্ন সময়ে সমালোচনার শিকারও হতে হয় তাকে। তবে সংকোচ ও প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে জিহাদ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইংরেজি বিভাগে।
জিহাদ পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া গ্রামের ফারুক হাসান গাজীর ছেলে। জিহাদ উচ্চতায় মাত্র ৩৬ ইঞ্চি। তিনি রাজধানীর মুসলিম মডার্ন একাডেমি থেকে জিপিএ ৪.৬৭ পেয়ে এসএসসি এবং বনফুল আদিবাসী ক্যাডেট কলেজ থেকে জিপিএ ৪.২৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেছেন। এরপর ভর্তিযুদ্ধেও উত্তীর্ণ হন।
জিহাদ বলেন, ছোটবেলা থেকে অনেকের হাসির পাত্র ছিলাম। এখনো হতে হচ্ছে। ছোটবেলায় সংকোচ হলেও এখন সেটা হয় না। আমি সমালোচনায় কান না দিয়ে মনোযোগ সহকারে পড়াশুনা করেছি। জীবনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলাম। আল্লাহর রহমত আর মা-বাবার সহযোগিতায় সেটা সম্ভব হয়েছে। আমার বাবা সব সময় পাশে ছিলেন। তবে আম্মার অবদান বেশি। আমার মা দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন। সর্বশেষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হয়েছি।
ভর্তির অনুভূতি ব্যক্ত করে জিহাদ বলেন, কখনো ভাবিনি একটা ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারব। ভর্তি হতে পেরে খুব ভালো লাগছে। বিসিএস ক্যাডার হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই।
Discussion about this post