ইশতিয়াক হাসান
চলতি মাসের শুরুর দিকে অনেকে একটি ই-মেইল পেয়েছেন। মেইলটির হেডিং ছিল ‘ফেসবুক প্রোটেক্ট থেকে আপনার অ্যাকাউন্টের জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তার প্রয়োজন’। ই-মেইলটিতে একটি লিংক দিয়ে বলা হয় ওতে গিয়ে ফেসবুক প্রোটেক্ট ফিচারটি চালু করে নিতে। আরও বলা হয় একটি নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে চালু না করলে অ্যাকাউন্টটি লক হয়ে যাবে।
ফেসবুকের বক্তব্য অনুসারে, এটি নির্দিষ্ট কিছু মানুষের জন্য করা একটি সিকিউরিটি প্রোগ্রাম। যাদের অ্যাকাউন্ট হ্যাকারদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন— মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও সরকারি কর্মকর্তা। মূলত টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালুর মাধ্যমে অ্যাকাউন্টটিকে হ্যাকিংয়ের হুমকি থেকে নিয়মিত মনিটর করার জন্য প্রোগ্রামটির আওতায় আনা হয়েছিল ওই ব্যবহারকারীদের।
মেইলটি পাঠানো হয়েছিল security@facebookmail.com ঠিকানা থেকে। অনেকেই যেটাকে স্প্যাম মনে করে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। বাস্তবে এটি স্প্যাম ছিল না বলে জানায় সংবাদ মাধ্যম ভার্জ।
মেইলে উল্লেখ করা প্রথম ডেডলাইন ১৭ মার্চ হওয়ায় সেদিনের পর অনেকের অ্যাকাউন্ট লক হয়ে যায়। অ্যাকাউন্ট ফিরে পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে অনেকেই টুইটারসহ অন্যান্য সোশাল মিডিয়ায় অভিযোগ করছেন, তাদের অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা চালু থাকা সত্ত্বেও অ্যাকাউন্ট লক হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে মেটা’র সিকিউরিটি পলিসির প্রধান নাথানিয়েল গ্লেইচার টুইটারে বলেন, এই প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য ব্যবহারকারীদের কী ধরনের সহায়তা দরকার এমন কিছু ভিন্ন ভিন্ন উদাহরণ আমরা সংগ্রহ করছি।
Discussion about this post