শিক্ষার আলো ডেস্ক
বহু দিন ধরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্য কোর্স নিয়ে বিতর্ক চলছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও শিক্ষকদের একটি পক্ষের বিরোধীতায় কিছুদিন সান্ধ্যকোর্সের কার্যক্রমও বন্ধ রেখেছিলো কর্তৃপক্ষ। পরে সান্ধ্যকোর্সের পক্ষের শিক্ষকদের চাপে প্রোগ্রামটি আবার চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে পুনরায় সান্ধ্যকোর্স চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে সান্ধ্যকোর্স চালু রাখার ক্ষেত্রে প্রোগ্রামটিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনার কথা বলে কমিটি।
তারই ধারাবাহিকতায় গতকালের একাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকোর্স এখন থেকে পরিচিত হবে ‘অনিয়মিত প্রোগ্রাম’ নামে। কোনো বিভাগ একের অধিক অনিয়মিত প্রোগ্রাম খুলতে পারবে না। ইচ্ছামতো শিক্ষার্থীও ভর্তি করাতে পারবে না বিভাগগুলো। প্রয়োজনীয়তা যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে শিক্ষার্থীর আসন নির্ধারণ করা হবে।
এ বিষয়ে সান্ধ্যকোর্স নিয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, সান্ধ্যকোর্স বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিচালনা করা যাবে না। এ কোর্স রাখার উদ্দেশ্য হবে-স্কিলড প্রফেশনাল তৈরি করা। যার জন্য প্রোগ্রামটির নামেরও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
২০০২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে প্রথম সান্ধ্যকোর্স চালু করা হয়। শিক্ষকদের অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ থাকায় অল্প দিনেই সান্ধ্যকোর্স বেশ জনপ্রিয়তা পায়। দুই দশকের কম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৩৫টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে ৬৯টি সান্ধ্যকোর্স চালু করা হয়।
Discussion about this post