খেলাধূলা ডেস্ক
মা, সন্তান, শাশুড়ি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এমন পরিস্থিতিতেও সাকিব আল হাসান ঘরে ফেরেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তৃতীয় ওয়ানডে শেষ করে তবেই ফিরবেন দেশে। পরিবারের সদস্যদের অসুস্থতা সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশ প্রশংসা কুড়াচ্ছেন সাকিব। এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের প্রশংসাও পেলেন তিনি।
অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন সাকিব আল হাসানের মা শিরিন আক্তার। এছাড়া ছেলে আইজাহ আল হাসান ও ছোট মেয়ে ইরাম হাসান নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। তারাও হাসপাতালে ভর্তি আছে দাদির সঙ্গে। অন্যদিকে বড় মেয়ে আলাইনা হাসান অব্রি ঠাণ্ডা-জ্বরে ভুগছে। সবমিলিয়ে পারিবারিকভাবে বেশ সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন টাইগার অলরাউন্ডার।
সাকিবের শ্বাশুড়িও আবার ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সাকিবের মা হার্টের রোগী। অবস্থা কিছুটা খারাপ হওয়ায় তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফলে পরিবারের পাশে থাকতে সিরিজের মাঝেই চলে আসবেন দেশে- এমনটাই ধারণা করা হচ্ছিল। তবে সব ধারণা ভুল করে সাকিব আল হাসান থেকে যান আফ্রিকান মুল্লুকে।
অবশ্য সাকিব যদি দেশে ফিরতে চাইতেন তাতে না ছিল না বিসিবির। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, ‘সাকিব আমাকে প্রথম ওয়ানডের পরেই বলেছিল ওর পরিবারের সবাই অসুস্থ। আমি তাকে বলেছি, চাইলে ও আসতে পারে। পরিবার সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ, তাদের জন্য অবশ্যই যেকোনো সময়েই আসতে পারে। ও বলেছিল দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলে আসবে। এরপর বলল, আমি এখন আসছি। ওর টিকিটও বুক হয়ে গিয়েছিল। এরপর কাল বলল, তৃতীয় ম্যাচ শেষে আসব। আমাদের তরফ থেকে পুরো গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া আছে, যেহেতু ফ্যামিলি ইমার্জেন্সি। সে যে কোন সময় আসতে পারে।’
সময়ের সেরা এই অলরাউন্ডার প্রথম ওয়ানডের পরই জানিয়েছিলেন পরিবারের এই সমস্যার কথা। তখনই বিসিবি সভাপতি সেখানে সম্মতি দিয়েছিলেন। এরপরের ম্যাচ খেলে আসতেও কোনো আপত্তি ছিল না তার। তবে এরপরও যে তিনি শেষ ওয়ানডের জন্য সেখানে রয়ে গেছেন, সেটাই মুগ্ধ করেছে বিসিবি সভাপতিকে।
বিসিবি সভাপতির ভাষ্য, ‘সে যে খেলছে এটা অবশ্যই আমাদের জন্য বিরাট ব্যাপা, ও স্যাক্রিফাইস করছে।’
Discussion about this post