শিক্ষার আলো ডেস্ক
বরিশাল নদীবন্দরে প্রবেশ টিকিট কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) তিন শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল কার্যালয়ের তিন শুল্ক প্রহরীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
রোববার (২৭ মার্চ) বিআইডব্লিউটিএর প্রধান কার্যালয় থেকে ওই আদেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল কার্যালয়ের বন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত রোববার রাতে তিন শুল্ক প্রহরীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত সংক্রান্ত একটি আদেশ হাতে পেয়েছি। এরপর ওই তিন শুল্ক প্রহরীকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নদীবন্দরে প্রবেশ করা নিয়ে বাগবিতণ্ডা ও মারধরের ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে ওই তিন শুল্ক প্রহরীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় কর্মচারী চাকরি প্রবিধানমালা অনুযায়ী তাদেরকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্তরা হলেন, বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল কার্যালয়ের শুল্ক প্রহরী মো. মিজানুর রহমান, মো. কামাল হোসেন ও মো. জাকির হোসেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাতে বরিশাল নদীবন্দরে প্রবেশ টিকিট কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে বিআইডব্লিউটিএর শুল্ক প্রহরীদের মারধরের শিকার হন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থী। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল কার্যালয়ের বন্দর কর্মকর্তা, নৌ ও মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকজন শিক্ষক বিষয়টি সমাধানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত স্টাফদের বরখাস্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নদীবন্দরে প্রবেশ ফি নেওয়া বন্ধ করা এবং হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মুঠোফোন ও মানিব্যাগ ফিরিয়ে দেওয়া বা ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়। তারা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে চলে আসেন।
এদিকে মারধরের বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরে বিআইডব্লিউটিএর প্রধান কার্যালয় থেকে বরিশাল বন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে প্রতিবেদন চাওয়া হয়। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্ত তিন শুল্ক প্রহরীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
নদীবন্দরে মারধরের শিকার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. ইমরান হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে হামলাকারী স্টাফদের বরখাস্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নদীবন্দরে প্রবেশ ফি নেওয়া বন্ধ করা এবং হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মুঠোফোন ও মানিব্যাগ ফিরিয়ে দেওয়া বা ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে। বিষয়টি সমাধান হওয়ায় শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
Discussion about this post