শিক্ষার আলো ডেস্ক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গত ৯ মার্চ থেকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের (৫০ ব্যাচ) শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে এখনও খালি রয়েছে ৩৪টি আসন। আসন খালি রেখেই ভর্তি কার্যক্রম শেষ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসব আসনে ভর্তির সুযোগের জন্য আবেদন করেছেন মেধাতালিকায় অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ভর্তি কার্যক্রম কমিটির সভায় ক্লাস শুরু করার পরপরই ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৯ মার্চ ক্লাস শুরু হওয়ার পর থেকে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) মো. আবু হাসান বলেন, ভর্তি বাতিল করে আসন শূন্য হওয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া। এখন পর্যন্ত ৩৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করেছেন। তাই আসনগুলো খালি রয়েছে। ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে।
এদিকে শূন্য আসনগুলোতে ভর্তির সুযোগের জন্য আবেদন করেছেন মেধাতালিকায় অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীরা। আসন খালি থাকা অনুষদগুলোর ডিন বরাবর লিখিত আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে জানা গেছে, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, কলা ও মানবিকী অনুষদ, গাণিতিক ও পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ক অনুষদ এবং জীববিজ্ঞান অনুষদে আসন খালি রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমার কাছে আবেদনপত্র পৌঁছায়নি। ইতোমধ্যে পাঁচ ধাপে ভর্তি করানো হয়েছে। এখন আসন খালি থাকলে তাতে ভর্তি করাবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক কমিটি। পরবর্তী ব্যাচের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তাই আমার মনে হয় না নতুন করে কাউকে ভর্তি করানো হবে।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্বে নিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম বলেন, শূন্য আসনের বিষয়ে আমি অবগত আছি। কমিটির সভায় শূন্য আসনের বিপরীতে ভর্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে ভর্তি করানো হয়। এ বিষয়ে ভর্তি কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।
উল্লেখ্য, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মোট এক হাজার ৮৮৯ আসনের (কোটা ব্যতীত) বিপরীতে আবেদন করেছিলেন তিন লাখ আট হাজার ৬০৬ শিক্ষার্থী।
Discussion about this post