নিজস্ব প্রতিবেদক
ইংরেজি বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, এমনভাবে পড়াশোনা করো, যেন সেটি তোমার পরিবার, সমাজ, দেশ তথা জাতির জন্য কাজে লাগে। নিজেকে গড়ো; নিজেকে গড়তে পারলেই দেশকে গড়তে পারবে।
আজ শনিবার সকালে যবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘রিদম’ কর্তৃক আয়োজিত নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, পৃথিবীর গতিধারা, উন্নয়ন ও সমাজ বুঝে নিজেকে তৈরি করতে হবে। তাহলে নিজেদের জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারবে। একটি জাতিকে সামনে এগিয়ে নিতে যে জ্ঞান ও বিদ্যা অর্জন করা দরকার, আমরা যেন সেটি করতে পারি। তিনি বলেন, আবারও করোনার আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি বা এ ধরনের দুর্যোগ এলে যেন শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ যেন না হয়, এ জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদানের পদ্ধতিকে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগে দুটি করে ডিজিটাল ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে ক্লাস নেওয়ার জন্য শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট থাকবে না। করোনার কারণে যেটুকু হয়েছে, সকলের সহযোগিতায় সেটি আমরা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।
ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মুনিবুর রহমানের সভাপতিত্বে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মরিয়ম জামিলা, সহকারী অধ্যাপক ফারজানা নাসরীন, তন্ময় মজুমদার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, শারমিন সুলতানা, তানজীর আহমেদ এবং প্রভাষক আব্দুল ওয়াহিদ দীপ্র ও নিহাল ফারহান কবীরসহ বিভাগটির বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে উপাচার্য মহোদয় প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের হাতে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মুদ্রিত অ্যাকাডেমিক তুলে দেন এবং ক্যালেন্ডারে উল্লিখিত নিয়ম-কানুন মেনে চলার পরার্শ দেন। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান। আলোচনা সভা শেষে ইংরেজি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কোভিড-১৯ অতিমারীর প্রাদুর্ভাবের পর এই প্রথম বিভাগটির শিক্ষারর্থীরা এরূপ একটি মিলনমেলায় মিলিত হওয়ার সুযোগ পায় এবং আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী কোরাইশা বিনতে হুমায়ুন।
Discussion about this post