শিক্ষার আলো ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মিউজিয়াম নির্মাণের কথা ভাবা হচ্ছে এবং বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি জাদুঘর থাকা প্রয়োজন। আমরা যেটি ভাবছি, সেটি হলো ‘দ্য ঢাকা ইউনিভার্সিটি মিউজিয়াম’। যেখানে মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ বিষয়ক ও ছাত্রদের অবদানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা বিষয় সংরক্ষিত থাকবে। উদ্ভাবন ও আবিষ্কারের যেসব অর্জন রয়েছে, সেগুলো সেখানে প্রদর্শিত হবে। সে কারণে বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় আছে, আশা করি আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত ‘শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : সাংবাদিকতায় অর্জন ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনারে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশ গঠনে বিভিন্ন ঘটনা ও আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস পঠনপাঠনের মধ্য দিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি স্থাপনা ও প্রাঙ্গণ একজন ছাত্রকে পুর্ণাঙ্গ গ্র্যাজুয়েট অর্জনে যথেষ্ট সহায়তা করে। আর এসব পূর্ব ইতিহাস, অর্জন-বিসর্জন রক্ষায় জাদুঘর খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করি।
মুক্তিযুদ্ধের বিষয়গুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ স্টাডিজ— এগুলো শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
সমিতির সদ্য সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল কবিরের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা অজয় দাশগুপ্ত। বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, ডুজার প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য আফতাব উদ্দীন মানিক, মশিউর রহমান, সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার বোরহানুল হক সম্রাট।
Discussion about this post