শিক্ষার আলো ডেস্ক
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে নওগাঁর রানীনগর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মিরাজুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কলেজের সভাপতি সুশান্ত কুমার মাহাতো স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ওই কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, মিরাজুল ইসলাম কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করাসহ বিভিন্ন নিয়ম বর্হিভূত কর্মকাণ্ড করে আসছিলেন। এজন্য তাকে আগে একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে তাকে ক্ষমা করা হয়।
এরপরও কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সুজিত চন্দ্র সাহা ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক সনজীব কুমার সাহার বেতন-ভাতা করে দেওয়ার নামে তাদের কাছ থেকে প্রথমে ১০ লাখ টাকা নেন। পরে আরও ছয় লাখ টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই দুই শিক্ষকের কোনও বেতন-ভাতা হয়নি।
এছাড়া ২০২১ সালের ২১ মার্চ থেকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কলেজের আয় হয়েছে ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ৯৫২ টাকা। যার মধ্যে মিরাজুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে কলেজের হিসাব নম্বরে ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৯৫০ টাকা জমা দিয়েছেন। অবশিষ্ট ৬ লাখ ৮২ হাজার ২ টাকা কলেজের হিসাবে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।
এসব কর্মকাণ্ড চাকরি বিধির পরিপন্থী হওয়ায় অধ্যক্ষ এবং ওই কলেজের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন চন্দ্রকে গত ৩১ মার্চ কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশের বিপরীতে মিরাজুল ইসলাম যে জবাব দিয়েছেন, তা সন্তোষজনক নয়। তাই কলেজের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বৃহস্পতিবার এক চিঠির মাধ্যমে তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরবো এবং আইনের আশ্রয় নেবো।’
Discussion about this post