শিক্ষার আলো ডেস্ক
সাত বছর আগে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় দুই হাত হারায় মো. হোসেন। তখন সে প্রথম শ্রেণির ছাত্র। কিন্তু পড়াশোনার প্রতি তার আগ্রহ দেখে বাবা-মা তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেননি। দুই হাত না থাকায় পা দিয়েই লেখা আয়ত্ত করেছে হোসেন।
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চার্চ কলোনির বাসিন্দা কৃষক সাহাবুদ্দিনের ছেলে মো. হোসেন। সে উত্তর চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘হোসেনের চিকিৎসার জন্য জমিজমা বিক্রি করেছি। আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়দের কাছ থেকে ধারদেনা করে প্রায় ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। এতে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুই হাত হারানোর পরও হোসেন পড়াশোনার ব্যাপারে অনেক আগ্রহী ছিল। তাই আমরা তার পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে সে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে।’
সে আরও বলে, ‘আমাকে পড়াশোনা করাতে বাবা-মা অনেক সহযোগিতা করছে। পড়াশোনা শেষে বড় চাকরি করে বাবা-মায়ের কষ্ট দূর করতে চাই। তবে কৃত্রিম হাত পেলে আমার কষ্ট অনেক কম হতো।’
উত্তর চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন জানান, হোসেন একজন মেধাবী ছাত্র। হাত না থাকায় সে পা দিয়ে লেখে। তার লেখা অনেক সুন্দর। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হোসেনের পড়াশোনার বিষয়ে খেয়াল রাখছেন।
এ বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল নোমান বলেন, হোসেনের পরিবার থেকে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। তার বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে। তার পড়াশোনাসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। সৌজন্যে-জাগো নিউজ
Discussion about this post