শিক্ষার আলো ডেস্ক
নিউমার্কেট ও ঢাকা কলেজ এলাকায় সংঘর্ষে গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষে গুরুতর আহত শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেনের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আহত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিয়মিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী ও অন্যান্য ব্যক্তিদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এদিকে সংঘর্ষে ঢাকা কলেজের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়। আহত শিক্ষার্থীদের কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঢাকা কলেজের চিকিৎসক, ঢাকা কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপ ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা আহত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
গতকাল সোমবার রাত থেকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটসহ আশপাশের ব্যবসায়ীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় আজ মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও পুলিশসহ অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার কমপক্ষে ৪০ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া।
এ ছাড়া সংঘর্ষে অন্তত ২০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন-অর-রশিদ।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে। তখন নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ শুরু হয়, যা চলে রাত আড়াইটা পর্যন্ত। মধ্যরাতে দুই পক্ষকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
তখন শিক্ষার্থীরা জানিয়েছিলেন, ঢাকা কলেজের মাস্টার্সের দুই শিক্ষার্থী রাত ১২টার দিকে নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে যান। কেনাকাটা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে দুই শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করা হয়- এমন খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে নিউমার্কেট এলাকায় যায় ঢাকা কলেজের একদল শিক্ষার্থী। পরে ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
পরদিন মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ব্যবসায়ীরা সড়কে চলে এলে দ্বিতীয় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ। সকাল সাড়ে ১০টার পর নীলক্ষেত মোড় থেকে সায়েন্সল্যাব পর্যন্ত এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।
Discussion about this post