সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হাট-বাজার কিংবা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নিত্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর প্রকান্তরে এর মাধ্যমেই তিনি ব্যবসায়ীদের ই-কমার্সে সংযুক্ত হওয়া এবং ভোক্তাদের অনলাইনে কেনা-কাটার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কাণ্ডারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই আহ্বানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে ই কমার্স অ্যাসোয়েসন অব বাংলাদেশ- ই-ক্যাব। পাশাপাশি আহ্বানটিকে নির্দেশনা হিসেবে বিবেচনা করে যেসব ব্যবসায়ী এখনো ই-কমার্স প্লাটফর্মে সংযুক্ত হননি তাদেরও এতে সংযুক্তির জন্য উদ্যোগ নিয়েছে সংগঠনটি। ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতার জন্য চালু করেছে হটলাইন সেবা নম্বর- ০৯৬৭৮১০০৭০০।প্রযুক্তির মাধ্যমে কেনাকাটার কাজ সম্পাদনের করা গেলে প্রধানমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী সহজেই ‘স্থবিরতা’ কেটে যাবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ‘করোনা’ মাহমারি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংগঠনটির কার্য নির্বাহী কমিটি। একইসঙ্গে এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক অচলাবস্থা থেকেও উত্তরণ ঘটবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল।ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শটি শতভাগ সময়োপযোগী। আর এই আহ্বানটিকে আমরা নির্দেশনার হিসেবেই নিয়েছি। ই-কমার্স অবকাঠামোর উন্নয়নে নিরলস কাজ করছে ই-ক্যাব। ই-ক্যাবের সদস্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোও সে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে ঘরে-বাইরে ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেই স্বাস্থ্য বিধি মেনে তারা গ্রাহকের দোরগোড়ায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। পাড়ার দোকানিরাও যেনো এই সেবায় যুক্ত হতে পারেন সে জন্য আমরা তাদেরকেও এই প্লাটফর্মে আনার উদ্যোগ নিয়েছি। ই-ক্যাবের হটলাইনে যোগাযোগ করলে আমার তাদেরকেও সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছি।উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষকে সহায়তা করার জন্য ইক্যাবের পক্ষ থেকে মানবসেবা নামে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চলাচল সংকুচিত করার পর একদিকে যেমন ই-কমার্স ভিত্তিক বেশীরভাগ প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তেমনি খাদ্য ও জরুরী পণ্য সরবরাহকারীদের গ্রাহক কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে অনলাইন ভিত্তিক সাপ্লাইচেইন সচল রাখতে ও দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে ইতোমধ্যে মাঠ প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা পাচ্ছে ই-ক্যাব। এই অবস্থায় অনলাইন ব্যবসার মাধ্যমে ডিজিটাল ইকোনমি সচল রেখে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন তারা। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে নির্দেশনা হিসেবে নিয়েছে ই-ক্যাব। প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে কাজ করার জন্য এই খাতের উদ্যেক্তারা প্রস্তুত রয়েছে। তারই আলোকে ই-কমার্স সেবাকে প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে সাপোর্ট সেন্টারসহ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে ই-ক্যাব।
Discussion about this post