ইমাম গাজ্জালী
আজ থেকে শতবর্ষ আগে, ২৭ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় বড় ধরণের গণহত্যা সংঘটিত করেছিল ব্রিটিশ পুলিশ ও সৈন্য। একটা হাটে বিলেতি পণ্য বর্জনের শান্তিপূর্ণ আয়োজনে গুলি করে গণহত্যা চালানো হয়। সেখানে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আড়াল করতে সাড়ে চার হাজার মানুষ ‘হতাহত’ হয়েছিল বলে সরকারিভাবে স্বীকার করা হয়েছিল।
ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছিল ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি। এ ঘটনার তিন বছর আগে ১৯১৯ সালের ২৪ এপ্রিল পাঞ্জাবের জালিনওয়ালাবাগে ব্রিটিশ পুলিশের গুলিতে ৩৭৯ থেকে এক হাজার লোক নিহত হয়েছিলেন বলে জানা যায়। সে ঘটনাটি নিয়ে উপমহাদেশে বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল, স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশের দেওয়া নাইট উপাধি প্রত্যাখান করেছিলেন। অথচ শতবছরেও সলঙ্গা বিদ্রোহের ঘটনাটি সামনে আসেনি, আসেনি আলোচনায়। বিষয়টি বিষ্ময়কর।
সলঙ্গা বিদ্রোহের প্রেক্ষাপট : প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে জার্মানের অক্ষ শক্তির পরাজয় হলেও, পর্যুদস্থ হয়েছিল ব্রিটিশ শক্তি। এছাড়া যুদ্ধে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের একতরফা ভারতীয় সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্তে লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাধতে থাকে। ঠিক সেই সময় ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রাওলাট আইন নামে একটি আইন পাশ করা হয়। ভারতের ভাইসরয় ও ইম্পিরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিল ১৯১৯ সালের ৬ এপ্রিল এ আইন বলবৎ করে। এ আইনবলে ভারতবাসীর ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন শুরু হয়। ন্যূনতম প্রমাণ দাখিল ব্যতিরেকেই সেনা ও পুলিশকে সাধারণ ভারতীয়দের গ্রেপ্তার, জেল-জরিমানা ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়। পুলিশের দমন পীড়নে মানুষ ক্ষোভে ফুসতে থাকে।
অন্যদিকে, তুরস্কের সুলতানকে বিশ্বের সকল সুন্নী মুসলমানদের খলিফা বলে মনে করতেন খেলাফতিরা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে (১৯১৪-১৯১৮) তুরস্ক ছিল জার্মানীর নেতৃত্বে অক্ষ শক্তির পক্ষে। তাদের পরাজয় ঘটে। তুরস্কের অখণ্ডতা হুমকিতে পড়ে। মুস্তাফা কামাল তুরস্কের সুলতানকে সিংহাসনচ্যুত করলে ব্রিটিশ সরকার কামালকে সমর্থন করেন। তখন লাখ লাখ ভারতীয় মুসলমান সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হন। তারা তুরস্কের অখণ্ডতা রক্ষার দাবি তোলেন। তুর্কি সুলতান বা খলিফার মর্যাদা ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব অক্ষুন্ন রাখার দাবিতে মুসলমান নেতারা খিলাফত কমিটি গঠন করেন। তাঁদের প্রতি ব্রিটিশ সরকারের ঔদাসিন্যের অবসান ঘটাতে সচেষ্ট হন।
উল্লেখ্য, খেলাফতিরা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি। মুসলিম লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্না খেলাফত আন্দোলনকে সমর্থন দেননি। কংগ্রেস খেলাফত আন্দোলনকে সমর্থন জানায়।
অপরদিকে, মওলানা আবুল কালাম আজাদ, মুখতার আহমেদ আনসারী, হাকিম আজমল খান, আব্বাস তয়েবজি, মওলানা মহম্মদ আলি ও মওলানা শওকত আলী প্রমুখ মুসলিম নেতারা গান্ধীকে সমর্থন করেন। ১৯১৯ ও ১৯২০ সালে গান্ধী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। হিন্দু মুসলিমের মধ্যেকার বিরোধটি আপাত স্থগিত হয়ে যায়।
এদিকে, গান্ধী রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে গণক্ষোভকে কাজে লাগাতে একটি জাতীয় প্রতিবাদ আন্দোলনের সূচনা করেন। সকল অফিস ও কলকারখানা বন্ধ হয়ে যায়। ভারতীয়দের সরকারি স্কুল, পুলিশ বিভাগ, সেনাবাহিনী ও সরকারি চাকরি ত্যাগে উৎসাহিত করা হয়। আইনজ্ঞরা সরকারি আদালত বর্জন করেন। গণ-পরিবহন, ব্রিটিশ দ্রব্যসামগ্রী বিশেষত কাপড় বর্জিত হয়।
অসহযোগ আন্দোলনের সাফল্য ও লক্ষ লক্ষ ভারতীয়ের এই আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পর্যুদস্ত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদকে সন্ত্রস্ত করে তোলে। এমন একটি বাস্তবতায় সংঘটিত হয় সলঙ্গা বিদ্রোহ। ১৯২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলা এই আন্দোলনের সময়কে ‘গান্ধী যুগ’’ বলে অভিহিত করা হয়।
অসহযোগ আন্দোলনের জোয়ার থেকে বাদ যায় না প্রত্যন্ত সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা। সলঙ্গার গণহত্যার তিন দিন আগে, সেখান থেকে কয়েক মাইল উত্তরে চান্দাইকোনা হাটে অসহযোগ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। আন্দোলনকারীরা পুলিশের বন্দুক কেড়ে নিয়ে পাশের ফুলঝোর নদীতে ফেলে দেয়। সলঙ্গা বিদ্রোহের সপ্তাহ খানেক পর ১৯২২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি উত্তর ভারতের গোরক্ষপুর জেলায় চৌরিচৌরার ‘অসহযোগ’ আন্দোলনকারী জনতা একটি থানায় আগুন ধরিয়ে দিলে পুলিশ গুলি চালায়। সেখানে ২৩ জন পুলিশ ও তিনজন আন্দোলনকারী নিহত হয়। ‘অহিংস ও অসহযোগ’ চরিত্র থেকে আন্দোলন সহিংস রূপ ধারণ করে। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী আন্দোলনের তেজ দেখে ভীত হয়ে পড়েন। তিনি ভারতীয় জনগণকে সংগ্রাম বন্ধ করার অনুরোধ জানান। আন্দোলন বন্ধ করার জন্য গান্ধী তিন দিন অনশন পালন করেন। চৌরিচৌরায় সহিংস ঘটনার ৮ দিন পর ১২ ফেব্রুয়ারি গান্ধী আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন। হিন্দু-মুসলমানের মিলন বিরোধে রূপ নেয়। আন্দোলন এতটাই তীব্র আকার ধারণ করেছিল, সেটা অব্যাহত রাখলে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের মেরুদণ্ড তখনই ভেঙে দেওয়া সম্ভব ছিল, সাতচল্লিশে সমঝোতায় ইংরেজ বিদায় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হত না। তার আগেই ব্রিটিশকে ভারত ছাড়তে বাধ্য করার চমৎকার হাতে আসা সুযোগ পায়ে ঠেলা হয়।
কিন্তু মোহনদাস করমচাদ গান্ধী এত বড় রক্তক্ষয়ী ঘটনার পরও আসেননি সলঙ্গায়। তিনি ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি পর্যন্ত দেননি। যে রবীন্দ্রনাথ জালিনওয়ালাবাাগের হত্যাকাণ্ডের প্রশ্নে নাইট উপাধি প্রত্যাখ্যান করলেন, পূর্ববাঙলার জমিদারির (নওগাঁর পতিসর, কুষ্টিয়ার শিলাইদহ ও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর) অর্থ বিত্তে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি দ্যুতি ছড়ালেও, সেই রবীন্দ্রনাথ সলঙ্গা গণহত্যা নিয়ে সরব হননি।
আমাদের জানা মতে, ইতিহাসের এই অধ্যায় নিয়ে কোনো কাজ হয়নি। কেউ নাটক লেখেনি, কোনো সিনেমা হয়নি। কারো কবিতা চোখে পড়েনি। শুধু উপমহাদেশ নয়, বাংলাদেশেও ইতিহাসের এই অধ্যায়টি অনালোচিত।
জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের গাড়াদহ নদীর তীরেই বসত সলঙ্গার হাট। সিরাজগঞ্জ তো বটেই, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, টাঙ্গাইল ও বগুড়া থেকে নানা পণ্যবাহী মহাজনী নৌকা এসে ভিড়ত সলঙ্গার হাটে। এত নৌকা আসত যে, নদীর ঘাট প্রায় দেড় মাইল লম্বা হয়ে যেত।
১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি, দিনটি ছিল শুক্রবার, বড় হাটবার। বিলেতি পণ্য বর্জনে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করছিল কংগ্রেস ও খেলাফতের কর্মীরা। আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সেসময়ের তরুণ কংগ্রেসকর্মী আবদুর রশিদ, যিনি পরবর্তীতে আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ নামেই খ্যাতি পেয়েছিলেন। একপর্যায়ে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি নিযুক্ত হন। গণ-আজাদী লীগ নামে একটি রাজনৈতিক দল গড়ে তুলেছিলেন। ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি, দিনটি ছিল শুক্রবার, বড় হাটবার। বিলেতি পণ্য বর্জনে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করছিল কংগ্রেস ও খেলাফতের কর্মীরা।
আবদুর রশিদ তর্কবাগীশের সংক্ষেপিত বয়ান, “আমি প্রায় তিনশ’ স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে সলঙ্গা হাটে কাজ করছি। এমন সময় পাবনার তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মি. আর এন দাস, সিরাজগঞ্জ মহকুমার এসডিও মি. এসকে সিনহা বা সুনীল কুমার সিংহ (তিনি ছিলেন আইসিএস লর্ড বিজয় কুমার সিংহ রায়ের ছেলে) এবং পাবনা জেলার ব্রিটিশ পুলিশ সুপার ৪০ জন আর্মড পুলিশ নিয়ে হাটে উপস্থিত হন। আমি ছিলাম কংগ্রেস অফিসে। বিশাল বপু টাক মাথাওয়ালা এসপি সাহেব আমাকে দেখেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন। আগে থেকেই তার খাতায় আমার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ জমা হয়েছিল। তাই আমাকে হাতের কাছে পাওয়ার পর তার আর তর সইল না। তৎক্ষণাৎ আমার ওপর নির্মম দৈহিক নির্যাতন শুরু করেন। অল্পক্ষণের মধ্যেই আমার নাক-কান ফেটে দেহের নানা অংশ ক্ষত-বিক্ষত হয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। একসময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। সলঙ্গা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা আমার পিতামহ ও পিতার অনেক ভক্ত মুরিদান ছিলেন। তারা তো বটেই, হাটের সাধারণ হাটুরেরাও এ নির্যাতন দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার জ্ঞান ফিরে আসে। আমাকে টেনেহেঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ভিড়ের মধ্য থেকে জনৈক ব্যক্তি ‘নড়ি’ (গরু খেদানোর লাঠি) দিয়ে পুলিশ সুপারের মাথায় সজোরে আঘাত হানে। ইংরেজ সাহেবের টাকমাথা ফেটে গিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। পুলিশ সুপার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। সবাই যখন পুলিশ সুপারকে নিয়ে ব্যস্ত, তখন হাটের তিন দিক থেকে লাখো জনতা আমাকে মুক্ত করার জন্য এগিয়ে এলো। ক্ষিপ্ত জনতা নিকটবর্তী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আর্মড পুলিশ সারিবদ্ধ হয়ে জনতার দিকে রাইফেল তাক করে হাঁটু গেড়ে বসে।”
“ইতোমধ্যে পুলিশ সুপারের সংজ্ঞা ফিরে আসে। পুলিশ সুপার পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে পরামর্শ করে গুলি চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। পুলিশ সুপার হুকুম দিলেন ‘ফায়ার’। সঙ্গে সঙ্গে গর্জে উঠল ৩৯টি রাইফেল। অবিরাম গুলিবর্ষণ চলে বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর। গুলিবিদ্ধ হয়ে আমার সামনেই সাতজন নিহত হয়। অবিরাম গুলিবর্ষণে কতজন যে নিহত হয়ে হাটের মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছিল, তার কোনো হিসাব ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকেও পাওয়া যায়নি। সরকারি তদন্ত রিপোর্টে হতাহতের সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার হাজার বলে হিসাব পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু কত শত আহত হয়ে ছুটে পালাতে গিয়ে পথঘাটে ঝোপে-জঙ্গলে মৃত্যুবরণ করেছে এবং কত শত আজও অজ্ঞাত, তার হিসাব নেই। সরকারি কোপদৃষ্টিতে পড়ে নির্যাতিত হওয়ার ভয়ে কখনো মৃত্যুর কথা প্রকাশ করেনি স্বজনরা।
“সরকারি তদন্ত রিপোর্টে হতাহতের সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার হাজার বলে হিসাব পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু কত শত আহত হয়ে ছুটে পালাতে গিয়ে পথঘাটে ঝোপে-জঙ্গলে মৃত্যুবরণ করেছে এবং কত শত আজও অজ্ঞাত, তার হিসাব নেই। সরকারি কোপদৃষ্টিতে পড়ে নির্যাতিত হওয়ার ভয়ে কখনো মৃত্যুর কথা প্রকাশ করেনি স্বজনরা।
অবিরাম গুলিবর্ষণে আর্মড পুলিশের সব গুলি শেষ হয়ে যায়। এ খবর মুহূর্তে সাধারণ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষিপ্ত, উত্তেজিত, মার খাওয়া জনতা ফালা, লাঠি, সরকি, বল্লম ইত্যাদি নিয়ে চারদিক ঘিরে সংঘবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আমাকে মুক্ত করে দিয়ে অনুরোধ করেন, ‘আপনি যেমন করেই হোক জনতাকে বুঝিয়ে শান্ত করুন এবং ফিরিয়ে নিন। ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের অনুরোধ আমি গ্রহণ করলাম। কারণ অহিংস আন্দোলনের সৈনিক হিসেবে এটা আমার নৈতিক দায়িত্বও ছিল।”
“যতদূর মনে পড়ে বলেছিলাম, এখন আপনার যদি নিরস্ত্র না হন, শান্ত না হন, তবে এ সংবাদ পেয়ে আরো পুলিশ আসবে, গোটা সৈন্যও আসবে। তারা এলে গ্রামকে গ্রাম জ্বালিয়ে দেবে, নির্বিচারে হত্যা করবে, ধরে নিয়ে যাবে। এ কথা শোনার পর জনগণের ভেতর থেকে একটি বিক্ষুব্ধ কণ্ঠ ভেসে এলো, তাহলে গান্ধী রাজারে খবর দেন, সেও তার সৈন্য পাঠাক। উত্তরে বললাম, গান্ধী রাজার সৈন্য তো আমরাই। অন্য সৈন্য গান্ধী পাবেন কোথায়? তখন ভিড়ের মধ্যে শতকণ্ঠে প্রশ্ন এলো, তাহলে ওই পচা ভেড়ার লেজ ধরেছেন কেন?”
“এই ভয়াবহ হত্যাকান্ডের খবর রাতারাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরদিনই কলকাতা, ঢাকা ও বাংলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কংগ্রেস ও খেলাফত কমিটির নেতা, কর্মী
বাহিনী, ডাক্তার, ছাত্র, স্বেচ্ছাসেবক সলঙ্গা বাজারের দিকে দলে দলে আসতে থাকে। নায়ক, আনন্দবাজার, অমৃতবাজার প্রভৃতি দৈনিক এই হত্যাকান্ডের উল্লেখ করে সরকারি ও বেসরকারি তদন্তের দাবি উত্থাপন করে।”
অসহযোগ ও খেলাফতের যুগ্ম আন্দোলন প্রত্যাহার হওয়ার পর হিন্দু মুসলিম-দুই সম্প্রদায় পুনরায় ফিরে যায় বিভেদের পথে। তরুণ আবদুর রশিদ তৎকালীন ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র দেওবন্দের পথে পা বাড়ান।
লেখক : সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক
Discussion about this post