অনলাইন ডেস্ক
আজ পবিত্র জুমাতুল বিদা। রমজানের শেষ শুক্রবার পবিত্র জুমাতুল বিদা হিসেবে পালিত হয়। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা দিনে জুমার নামাজে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা ও রহমত কামনা করেন, ইবাদত-বন্দেগি করেন। দিনটি মুসলিম বিশ্বে প্রথম কেবলা ‘বায়তুল মুকাদ্দেস’, অর্থাৎ মসজিদুল আকসা পুনরুদ্ধারের দাবিতে আল-কুদস দিবস হিসেবেও পালিত হয়। ১৯৬৮ সালে আগ্রাসন চালিয়ে ইসরায়েল এই মসজিদ এলাকা তথা জেরুজালেম দখল করে।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) রমজানের শেষ শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিশেষ ইবাদত করতেন। তার উম্মতরা এরই ধারাবাহিকতায় এই দিনে বাদ জুমা নফল নামাজ আদায় করেন এবং বিশেষ মোনাজাত করেন। প্রতিবছরের মতো এবারও জুমাতুল বিদা উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অতিরিক্ত মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রমজান মাসের শেষ জুমা হিসেবে এদিন ‘আল-কুদস দিবস’ পালিত হওয়ায় এর গুরুত্ব, তাৎপর্য ও মাহাত্ম্য আরও বেড়ে যায়। মানুষ দলে দলে জুমা আদায় করতে মসজিদের দিকে ধাবিত হবে। মহামারি করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে মুসলিম উম্মাহ আজ জুমার নামাজ শেষে মহান আল্লাহ’র কাছে বিশেষ দোয়া করবেন।
১৪৪৩ হিজরির রমজান মাসে মুসলিম উম্মাহ ইতিমধ্যে তিনটি জুমা অতিবাহিত করেছেন। আজ রমজানের বিদায়ী জুমা। তাই কোরআন নাজিলের মাসের মর্যাদা ও বরকতের সঙ্গে জুমার মর্যাদা ও ফজিলতে মুমিন রোজাদারের আমল ও হৃদয় হোক আলোকিত।
জুমাতুল বিদার বিশেষ ফজিলতের কথা না ভেবে যেহেতু আজই রমজানের শেষ জুমা তাই জুমাতুল বিদা আদায়ে কোরআন-সুন্নাহ ঘোষিত ফজিলত অর্জনের চেষ্টা করা প্রত্যেক ঈমানদার মুসলমানের জন্য জরুরি।
জুমার নামাজের মর্যাদা সম্পর্কে হাদিসে এসেছে- হজরত সামুরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা জুমার নামাজে উপস্থিত হও এবং ইমামের কাছাকাছি হয়ে দাঁড়াও। কেননা যে ব্যক্তি জুমার নামাজে সবার পেছনে উপস্থিত হবে, জান্নাতে প্রবেশ ক্ষেত্রেও সে সবার পিছনেই পড়ে থাকবে।’ (মুসনাদে আহমদ)
সুতরাং জুমাতুল বিদা উপলক্ষ্যে অন্তত রমজানের শেষ জুমায় আগেভাগে মসজিদে উপস্থিত হয়ে এ হাদিসের ওপর আমল করে সবার আগে জান্নাতে প্রবেশের সৌভাগ্য অর্জনের প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হওয়ার চেষ্টা করাও জরুরি।
Discussion about this post