শিক্ষার আলো ডেস্ক
বরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার(৯ মে)। প্রয়াত এই বিজ্ঞানীর প্রয়ান দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে তার জন্মস্থান রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার লালদিঘী ফতেহপুর গ্রামে ও রংপুর মহানগরীতসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মসুচি পালন হচ্ছে। পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, ড. ওয়াজেদ মিয়ার পরিবার, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন, ড. ওয়াজেদ স্মৃতি সংসদ (ডিডব্লিউএসএস), ড. ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, স্মৃতিচারণ, ফাতেহ পাঠ, কবর জিয়ারত, মিলাদ মাহফিল ও গরীবদের মধ্যে খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে।
প্রসঙ্গত: ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার লালদিঘীর ফতেহপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে এই বিজ্ঞানী জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০৯ সালের ৯ মে ইন্তেকাল করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জামাতা ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি তার কর্মজীবনে দেশ, জাতি ও জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। পিতা মরহুম আব্দুল কাদের মিয়া ও মাতা মরহুমা ময়জুন নেসার চার পুত্র ও তিন কন্যার মধ্যে তিনি ছিলেন সর্ব কনিষ্ঠ।
গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণী ও পীরগঞ্জ থানার হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়শোনার পর তিনি ১৯৫২ সালে রংপুর শহরের সরকারি জেলা স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালে এই স্কুল থেকে ডিস্টিংশনসহ ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন।১৯৫৮ সালে তিনি রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। ১৯৬১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় এবং ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন।
দিবসটি পালনে নানা কর্মসূচি নিয়েছে প্রশাসন ও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমে বাদ জোহর মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে অংশ নেবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের শরীক দলগুলো এবং ড. এমএ ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, স্মৃতিচারণ, মিলাদ মাহফিল ও গরিবদের মাঝে খাবার বিতরণ করবে।
Discussion about this post