নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি আবেদনের সুযোগ দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ২০২০ সালের এইচএসসি ইমপ্রুভমেন্টের শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপির সাথে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের একটি তালিকাও জমা দেওয়া হয়।
শনিবার (১৪ মে) গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এই স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। ইমপ্রুভমেন্টের শিক্ষার্থীদের পক্ষে মো. সারফারাজ উদ্দীন ও মো. রাফিউ হাসান এই স্মারকলিপি জমা দেন।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা ২০১৭ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও অনেকেই অসুস্থতা, পারিবারিক, অর্থনৈতিকসহ নানা প্রতিকূলতার জন্য অনিয়মিত হয়ে এবং মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিয়ে ২০২০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। যারা অনিয়মিত তারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষেই প্রথমবার ভর্তির জন্য আবেদন করে এবং যারা মানোন্নয়ন তারা ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হতে আবেদন করার যোগ্যতা না থাকায় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবার ভর্তির জন্য আবেদন করে। পূর্ববর্তী বছরগুলোর সার্কুলার অনুযায়ী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে দ্বিতীয়বার ভর্তির আবেদনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ইমপ্রুভমেন্টের শিক্ষার্থীরা আবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, মেডিকেল-ডেন্টাল ও রাবির ভর্তি পরীক্ষায় মাধ্যমিকে তিন শিক্ষাবর্ষ বিবেচনা করে দ্বিতীয়বার পরীক্ষার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ঢাবি, বিইউপিসহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই ভর্তি পরীক্ষায় অনেক বছর ধরে মাধ্যমিকে তিন-চার শিক্ষাবর্ষ বিবেচনা করে পরীক্ষার সুযোগ প্রদান করে আসছে।
তারা জানান, আমরা করোনাকালীন ব্যাচ বিভিন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। অনেকেই নিজের আপনজন হারিয়েছে, অনেকে আর্থিক সমস্যার কারণে আবেদন করতে পারেনি। আমাদের নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। আমাদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ইচ্ছা থাকলেও ২০১৭ সালে এসএসসি পাস করায় অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। নিজেদের ভবিষ্যত স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছি।
শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী এখনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তি হতে পারেনি বরং উচ্চশিক্ষার বদলে অনেকেই লেখাপড়া ছেড়ে বিভিন্ন কাজের সাথে যুক্ত হয়েছে। এই অবস্থায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মাধ্যমিক ২০১৭ এবং উচ্চমাধ্যমিক ২০২০ সালে উত্তীর্ণ (অনিয়মিত ও মানোন্নয়ন) শিক্ষার্থীদেরকে দ্বিতীয়বার ভর্তি আবেদনের সুযোগ দিয়ে শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসবেন বলেই আমাদের প্রত্যাশা।
Discussion about this post