খেলাধূলা ডেস্ক
টেস্টে ব্যাট হাতে দারুণ ধারাবাহিক তামিম ইকবাল কেবল সেঞ্চুরির দেখাটাই পাচ্ছিলেন না। চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই আক্ষেপ ঘুচালেন বাঁহাতি ওপেনার। দীর্ঘ ২৬ মাসের বেশি সময় পর সাদা পোশাক গায়ে চাপিয়ে তিন অঙ্কের স্বাদ পেলেন তিনি। এই ফরম্যাটে লঙ্কানদের বিপক্ষে এটি তার প্রথম শতক।
ইনিংসের ৫১তম ওভারে শ্রীলঙ্কান পেসার অসিথা ফার্নান্দোকে মিড উইকেটে খেলে দৌড়ে ১ রান নিয়ে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তামিম। টেস্টে এটি তার ১০ নম্বর সেঞ্চুরি। এই ফরম্যাটে সবশেষ শতকটি করেছিলেন ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এর মাঝে কেটে গেছে ১৬ ইনিংস। যেখানে ৬টি অর্ধশতক হাঁকালেও ম্যাজিক ফিগারের দেখা পাচ্ছিলেন না তিনি। ২৬ মাসের বেশি সময় পর সেই আক্ষেপ ঘুচল তামিমের।
৮৯ রান নিয়ে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যান তামিম, সেখান থেকে ফিরেই সেঞ্চুরির কোটা পূর্ণ করেন। ৭৩ বলে ফিফটি করলেও পরের পঞ্চাশ করতে লেগেছে ৮৮ বল। তামিমের এই শতক এসেছে ১৬২ বলে। যেখানে নেই কোনো ওভার বাউন্ডারি, চার মেরেছেন ১২টি।
এর আগে টেস্ট সংস্করণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭টি অর্ধশতক থাকলেও ছিল না কোনো শতক। লঙ্কানদের বিপক্ষে এটি তামিমের প্রথম তিন অঙ্ক ছোঁয়া রান। আগে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ছিল ৯২ রান। এমনকি টেস্টে তামিমের পাকিস্তানের পর সব থেকে কম ব্যাটিং গড় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৭৬ রান নিয়ে আজ ব্যাটিং শুরু করেন বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনার তামিম আর জয়। প্রথম সেশনে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন দুইজন। এই সেশনেও কোনো উইকেট হারায়নি অধিনায়ক মুমিনুল হকের দল। ১৫৭ রান দিয়ে দ্বিতীয় সেশনে ব্যাট করতে নেমে খানিক চাপে পড়ে স্বাগতিক শিবির। একে একে ফিরে যান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল। তবে ব্যক্তিগত শতক তুলে নেন তামিম।
৩ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ ২২০ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় টাইগাররা। সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে ১৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম। তবে বিরতি শেষে আর ব্যাট হাতে নামেননি তিনি। মাসল ক্র্যাম্পের কারণে তার পরিবর্তে ব্যাট করতে আসেন লিটন।
Discussion about this post