শিক্ষার আলো ডেস্ক
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় পটুয়াখাখালী সরকারি কলেজের শিক্ষক রাশেদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ৩৪তম বিসিএসের শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।শনিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর-রশিদ।
তিনি বলেন, মাউশির পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে রাশেদুল ইসলামের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ নিয়ে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় মাউশির দুই কর্মচারীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করল ডিবি। বাকিরা হলেন, পটুয়াখালী সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী সুমন জমাদ্দার, পটুয়াখালী খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত) সাইফুল ইসলাম, মাউশির উচ্চমান সহকারী আহসান হাবীব, মাউশির অফিস সহকারী মো. নওশাদুল ইসলাম।
গত শুক্রবার রাজধানীর ৬১টি কেন্দ্রে মাউশির ঐ নিয়োগ পরীক্ষা হয়।
ডিবি সূত্র জানায়, সুমন জমাদ্দারকে গত শনিবার আদালতে হাজির করে এক দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। এতে তার কাছ থেকে ঐ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের উত্তর সরবরাহে জড়িত চক্রের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মেলে।
ডিবি আরো জানায়, ঐ নিয়োগ পরীক্ষায় ৫১৩টি পদের বিপরীতে এক লাখ ৮৩ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেন। চাকরি প্রার্থীরা শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এক ঘণ্টায় এমসিকিউ পদ্ধতিতে ৭০টি প্রশ্নের উত্তর দেন।
ঐ ঘটনায় ইডেন কলেজের প্রধান সহকারী মো. আব্দুল খালেক বাদী হয়ে লালবাগ থানায় ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনের ধারায় সুমন, পলাতক সাইফুল ও খোকনসহ অজ্ঞাত আরো চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।
Discussion about this post