খেলাধূলা ডেস্ক
ম্যাচের শেষে নতুন চুক্তির ঘোষণা আসার কথা, তবে ম্যাচের আগেই সেটিই আসল। পার্ক দে প্রিন্সে ‘২০২৫’ লেখা জার্সি হাতে বহুল চর্চিত নতুন চুক্তির জানান দিয়েছেন পিএসজি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে। নতুন চুক্তি ঘোষণার উপলক্ষ পরে হ্যাটট্রিক করে আরও রঙিন করেছেন। আর এমবাপের এই দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে মেসের বিপক্ষে ৫-০ গোলের বড় জয় দিয়ে শিরোপা উৎসব করেছে পিএসজি। গোল পেয়েছেন নেইমার এবং ক্লাবের হয়ে বিদায়ী ম্যাচে মাঠে নামা আনহেল ডি মারিয়াও। পিএসজির কাছে বাঁচা-মরার ম্যাচে হেরে অবনমিত হয়েছে মেস।
মেসের বিপক্ষে লিগ আঁ’তে মৌসুমের শেষ ম্যাচটি পিএসজির জন্য অনেক কারণেই বিশেষ ছিল। দীর্ঘ নাটকের পর এমবাপের সঙ্গে নতুন চুক্তির ঘোষণা, আনহেল ডি মারিয়ার বিদায়, কোচ মরিসিও পচেত্তিনো ও ক্রীড়া পরিচালক লিওনার্দোরও খুব সম্ভবত শেষ ম্যাচ, এছাড়া শিরোপা উৎসবের উপলক্ষ তো ছিলই।
‘বিশেষ’ এই ম্যাচের শুরু থেকেই ঘরের মাঠে দাপট দেখিয়ে খেলতে থাকে পিএসজি। একের পর এক গোলের সুযোগ তৈরি করতে থাকে। চতুর্থ মিনিটে ডি মারিয়া, ১৮ মিনিটে লিওনেল মেসি ও ২১ মিনিটে নেইমার গোলের খুব কাছে আসলেও অল্পের জন্য গোল তাদের ধরা দেয়নি। তবে নতুন চুক্তি করে আলোচনার কেন্দ্রে থাকা এমবাপের ভাগ্য ছিল সুপ্রসন্ন। ২৫ মিনিটে ডি মারিয়ার থ্রু বল এবং ২৮ মিনিটে মেসির মাপা পাস ধরে দুই গোল করেন ফ্রান্সের এই বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এমবাপে। বক্সের সামনে মেস ডিফেন্ডার সারের কাছে বল হারালেও প্রেস করে আবার সেই বল দখলে নেন। এরপর মেস গোলরক্ষক মার্ক-অরেল কাইলার্দকে নাকানি-চুবানি খাইয়ে বল জালে পাঠান তিনি।
এমবাপের হ্যাটট্রিক গোলের আগে প্রথমার্ধে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন নেইমারও। ৩১ মিনিটে ডি মারিয়ার উদ্দেশ্যে দারুণ একটি থ্রু বল বাড়িয়েছিলেন মেসি, তবে মেসের গোলরক্ষক সেটি এগিয়ে এসে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করলে ফিরতি বল গিয়ে পড়ে নেইমারের পায়ে। সেখান থেকে বল জালে জড়াতে কোনো বেগ পেতে হয়নি এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের।
৪ গোল হজম করে ধুঁকতে থাকা মেসের জন্য মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আসে ৫৮ মিনিটে দুই হলুদ কার্ড দেখে বুবাকার ট্রায়োরের মাঠ ছাড়ার ঘটনা। ম্যাচের শেষ আধঘণ্টা দশজন নিয়েই খেলতে হয় তাদের।
তবে গোল উৎসবে মেতে ওঠা পিএসজির তারকাবহুল আক্রমণভাগ এর সুযোগ পুরোপুরি নিতে পারেনি। কারণ দশজনের মেসের জালে এরপর আর মাত্র একবারই বল পাঠাতে সক্ষম হয়েছিল দলটি। ৬৭ মিনিটে মেসির শট পোস্টে লেগে ফিরে আসলে বক্সের ভেতর থাকা ডি মারিয়া ফিরতি বল ধরে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে পিএসজির হয়ে নিজের শেষ গোলটি করে বিদায়ী ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখেন।
Discussion about this post