নিজস্ব প্রতিবেদক
বিভিন্ন সময়ে অবসর নেওয়া ১৫ শিক্ষককে সংবর্ধনা দিয়েছে ঢাকা কলেজ। শনিবার (২১ মে) দুপুরে কলেজের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আ. ন. ম. নজীব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে তাদের বিদায় সংবর্ধনা ও অন্যান্য শিক্ষকদের অংশগ্রহণে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক লায়লা মুসতারিন, অধ্যাপক মো. আবু তাহের পাটোয়ারী, অধ্যাপক কামার আফরোজ আহমেদ, অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন, অধ্যাপক ফাতিমা জোহরা, অধ্যাপক রিয়াজুল হাকিম বাবুল, অধ্যাপক হোসনে আরা হাসি, অধ্যাপক হুসনে আরা ইয়াসমীন, অধ্যাপক বিপা চৌধুরী, অধ্যাপক এ.কে.এম. সালাউদ্দিন, অধ্যাপক ফরিদা আক্তার বানু, অধ্যাপক নমিতা দাস, শকুন্তলা সাহা, কানিজ মৌলুদা আখতার।
ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে কলেজ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এ.টি.এম মইনুল হোসেন সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার বলেন, ঢাকা কলেজ একটি অনন্য পরিবার। সুখে দুঃখে সবাই একে অপরের অংশীজন। সাবেক শিক্ষকরাও আমাদের বাইরের কেউ নন। তাদের সংবর্ধনা দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্ববোধ করছি। তাছাড়া আমাদের শিক্ষকরা দেশ জাতি গঠনে ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের সংবর্ধনা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। করোনাকালে ও পরে অনেকেই নীরবে বিদায় নিয়েছেন। বিধিনিষেধসহ নানা সীমাবদ্ধতার কারণে যাদের সুন্দরভাবে বিদায় দেওয়া যায়নি, তাদের আমরা বিদায় সংবর্ধনা দিলাম। সবসময় তাদের জন্য কল্যাণ কামনা করি।
সৎ, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বপরায়ন শিক্ষকরা জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ উল্লেখ করে প্রধান অতিথি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ঢাকা কলেজের মত আন্তরিক নিষ্ঠাবান সহকর্মী খুব কমই পেয়েছি। এখানে প্রত্যেক শিক্ষককে তাদের নিজস্ব দায়িত্বের বিষয়ে সচেতন। বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে শিক্ষার্থীদের সব সময় নানাভাবে সমৃদ্ধ করার প্রচেষ্টা করেছেন। আমরা তাদের শুভকামনা জানাই।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও সমৃদ্ধ আগামী গড়তে শিক্ষকদের যথেষ্ট ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগামী প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মাঝে দেশপ্রেম ও দায়িত্বানুভূতি জাগ্রত করার দায়িত্ব শিক্ষকরা পালন করবেন। কেননা তাদের হাত ধরেই সোনালী সুন্দর ভবিষ্যৎ রচিত হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন কোনোভাবেই দুষ্টচক্রে না পড়ে যান, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
শিক্ষকদের সম্মানিত করতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার কথা জানান কলেজ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এ.টি.এম মইনুল হোসেন।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হিসেবে মনোনীত হওয়া ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক পুরজ্ঞয় বিশ্বাস, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার ও বিসিএস সাধারণ শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে জয়ী হওয়া ঢাকা কলেজের তিন শিক্ষক ফারহানা আফরোজ, আদনান হোসেন, মো. নাসির উদ্দীনকে ফুলেল সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
Discussion about this post