অনলাইন ডেস্ক
করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় ধীরে ধীরে বাড়ছে আবারও বাংলাদেশি কর্মী। গত দুই বছরে সে দেশে বাংলাদেশি কর্মী পাঠানো কমে গেলেও এখন আবার শুরু হয়েছে।
একই সঙ্গে দেশটি থেকে রেমিট্যান্স আসাও বেড়েছে।
ঢাকার দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০০৭ সাল থেকে কোরিয়া এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) আওতায় সে দেশে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া শুরু হয়। এরপর প্রতি বছর দেড় থেকে দুই হাজার কর্মী যেতেন কোরিয়ায়। তবে করোনা মহামারির ফলে কর্মী পাঠানো একেবারেই কমে যায়। ২০২০ সালে মাত্র ১৪১ ও ২০২১ সালে ১১১ জন কর্মী গেছেন কোরিয়ায়। এখন এ বছর কর্মী পাঠানো আবার বেড়েছে।
কোরিয়ায় গেছেন ২৩৪০০ কর্মী:
২০০৭ সাল থেকে ইপিএস কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ থেকে ২৩,৪০০ জনের বেশি বাংলাদেশি কর্মী কোরিয়ায় গেছেন। ২০১০ সালে ২৩৩৬ জন , ২০১১ সালে ১৬৮৫ জন , ২০১২ সালে ১৪২৬ জন, ২০১৩ সালে ২১৪৬ জন, ২০১৪ সালে ১৭৩১ জন, ২০১৫ সালে ২২৬৮ জন৷ ২০১৬ সালে ২০৪৯ জন, ২০১৭ সালে ১৭৮৬ জন, ২০১৮ সালে ২৩৫৫ জন, ২০১৯ সালে ১৬৪৫ জন কর্মী কোরিয়ায় গেছেন। আর চলতি বছর কোরিয়ায় গেছেন ১৩৩৬ জন। এখনো কর্মী যাওয়া অব্যাহত রয়েছে। বছর শেষে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
কোরিয়ায় রয়েছেন ১৬৩১১ বাংলাদেশি:
কোরিয়ার ইমিগ্রেশনের তথ্য অনুযায়ী, সে দেশে বাংলাদেশি কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন পেশার লোক রয়েছেন। বর্তমানে সে দেশে বাংলাদেশের ইপিএস কর্মী রয়েছেন ৭৩২৯ জন। শিক্ষার্থী ১২১৫ জন৷ পেশাজীবী ৪৯১ জন, রেসিডেন্স ৬২১ জন, স্থায়ী রেসিডেন্স ১৩৯ জন, অন্যান্য খাতে রয়েছেন ৬৫১৬ জন বাংলাদেশি।
বেড়েছে রেমিট্যান্স:
করোনাকালে কর্মী পাঠানো কমে গেলেও কোরিয়া থেকে পাঠানো প্রবাসী বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স বেড়েছে। কোরিয়া বাংলাদেশের ১৩ তম বৃহত্তর রেমিট্যান্স প্রেরণকারী দেশ। কয়েক বছরের মধ্যে কোরিয়া থেকে রেমিট্যান্স আসার অংক ২০০ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থ বছরে কোরিয়া থেকে এসেছে ২০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে ২০১৯ -২০ অর্থ বছরে ১৭৮, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ১১৩, ২০১৭ -২০১৮ অর্থ বছরে ৯৬, ২০১৬ – ১৭ অর্থ বছরে ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কোরিয়া থেকে এসেছে।
ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কুন বলেছেন, বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীরা শুধু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয়, কোরিয়ার শিল্পে শ্রমশক্তি সরবরাহেও অবদান রেখেছেন। কোরিয়ায় আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি ইপিএস কর্মী যাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
Discussion about this post