নিজস্ব প্রতিবেদক
উপবৃত্তির সফটওয়্যারের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন ও সংরক্ষণে সর্বোচ্চ সতর্ক হতে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি)। মঙ্গলবার (২৪ মে) এ সংক্রান্ত জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মাউশি।
মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজস্ব খাতভুক্ত সব ধরনের বৃত্তির অর্থ ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে জিটুপি পদ্ধতিতে ইএফটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের তথ্য এসপিএফএমএস কর্মসূচি, অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের এমআইএস সফটওয়্যারে এন্ট্রি করা হয়।
কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে, প্রতিষ্ঠান থেকে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড এর গোপনীয়তা সংরক্ষণ যথাযথভাবে করা হচ্ছে না। ফলে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাব নম্বরের পরিবর্তন করে প্রতারক চক্রের ভিন্ন ব্যাংক হিসাব নম্বর এন্ট্রি করে অর্থ আত্মসাতের সম্ভাবনা থাকতে পারে।
এ অবস্থায় দুই কর্মদিবসের মধ্যে পাসওয়া পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে। এ জন্য নির্দেশনায় বলা হয়েছে-
১. প্রতিষ্ঠান প্রধান বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সফটওয়্যারের পাসওয়ার্ড ব্যবহারে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও গোপনীয়তা রক্ষা করবেন।
২. প্রতিবার এন্ট্রি সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে।
৩. এন্ট্রি কার্যক্রম চলমান না থাকলেও তিন মাস পর পর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে।
৪. এন্ট্রি করা তথ্য (বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর নাম ও হিসাব নম্বর ইত্যাদি) সঠিক আছে কি না তা নিশ্চিত করবেন।
৫. আগে এন্ট্রি করা তথ্যের ক্ষেত্রে হিসাবধারীর নাম ও ব্যাংক হিসাব নম্বর সংক্রান্ত কোনো গড় মিল দেখা গেলে তা সংশোধন-পূর্বক তাৎক্ষণিকভাবে মাউশি অধিদপ্তর এবং এসপিএফএমএস কর্মসূচি, অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে।
৬. ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড এবং তথ্যের গোপনীয়তা সংরক্ষণের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্য আবশ্যিকভাবে নিজ প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার থেকে এমআইএস সফটওয়্যারে এন্ট্রি করতে হবে।
৭. বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রিতে কোনো শিক্ষার্থীকে দায়িত্ব দেওয়া যাবে না বা ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়া যাবে না।
৮. ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড এর গোপনীয়তার রক্ষার স্বার্থে নিজ প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা কম্পিউটার দোকান থেকে তথ্য এন্ট্রি করা যাবে না।
৯. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড প্রকাশ করা যাবে না।
১০. তথ্যের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য বিগত গত মার্চ মাউশি অধিদপ্তরের পত্রের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
এ সব নির্দেশনা অনুসরণ না করায় বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অর্থ অন্য ব্যক্তির হিসাবে প্রেরিত হলে প্রতিষ্ঠান প্রধান বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা দায়ী থাকবেন বলে এতে জানানো হয়েছে।
Discussion about this post