শিক্ষার আলো ডেস্ক
মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর টর্চারসেল হিসেবে ব্যবহৃত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত টিনশেড ঘরটিকে ‘গল্লামারী বধ্যভূমি স্মৃতি জাদুঘর, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে সংরক্ষণের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে গতকাল রোববার (২৯ মে) উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে খুলনার বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলের মুজিব বাহিনীর প্রধান ও বাগেরহাট জেলা পরিষদ প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু, খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশীদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খুলনা জেলা ইউনিটের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার মাহবুবার রহমান ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খুলনা মহানগর ইউনিটের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আলমগীর কবীর উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, এটি অনেক আগেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের চিন্তায় নেওয়ার দরকার ছিলো। কেননা এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বধ্যভূমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বিলম্বে হলেও বর্তমান উপাচার্য এই স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেজন্য তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এবং আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আমরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন, ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহেরসহ বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সদস্যরা স্থানটি পরিদর্শন করেছেন এবং স্বপক্ষে মত দিয়েছেন। এই টিনশেড ঘরটি সংস্কার ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়নে ইউজিসি থেকে প্রাথমিকভাবে অর্থ বরাদ্দও পাওয়া গেছে।
এ সময় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, সংস্কার ও উন্নয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থপতি প্রফেসর ড. খো. মাহফুজ উদ দারাইন, সহযোগী অধ্যাপক স্থপতি এস এম নাজিম উদ্দিন, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুর রাজ্জাক, জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এস
Discussion about this post