নিজস্ব প্রতিবেদক
সম্প্রতি অনুমোদিত জাতীয় শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় বড় ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। এসব পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন বিষয় সংযোজন ও বিদ্যমান শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন এনে।
২০২৩ সাল থেকে বাস্তবায়ন শুরু হতে যাওয়া নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখা গত সোমবার (৩০ মে) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) যৌথ সভায় অনুমোদন দেওয়া হয় রূপরেখাটির।
এর আগে, গত বছর সেপ্টেম্বরে নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখাটি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শিক্ষাক্রম রূপরেখায় নতুন সংযোজন
→ যোগ্যতা ও দক্ষতানির্ভর শিক্ষাক্রম
→ মুখস্থনির্ভরতা বা পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের চেয়ে শিক্ষার্থীর সক্রিয়তা, অভিজ্ঞতা ও পারদর্শিতার প্রতি গুরুত্বারোপ
→ একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি জীবন ও জীবিকা সংশ্লিষ্ট বিষয়সহ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি
→ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং নিজস্ব শিল্প ও সংস্কৃতির নিয়মিত চর্চার প্রতি গুরুত্বারোপ
→ প্রাত্যহিক জীবনে মূল্যবোধ ও নৈতিকতা নিয়মিত চর্চা
→ পরিবার, বিদ্যালয় ও সমাজে সুনাগরিকের জীবনাচরণ চর্চা
→ ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারের পাশাপাশি উদ্ভাবনকারী হিসেবে গড়ে তোলা
→ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, ঝুঁকি ও সম্ভাবনা বিবেচনায় নিয়ে পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য রূপান্তরযোগ্য দক্ষতা অর্জনে গুরুত্বারোপ
→ শিক্ষার্থীর আবেগিক বুদ্ধিমত্তা ও মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে সার্বিক বিকাশ নিশ্চিতকরণ।
শিক্ষাক্রম রূপরেখায় মূল পরিবর্তন
→ ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত সকলের জন্য ১০টি বিষয় নির্ধারণ (প্রচলিত মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থাকবে না);
→ পরীক্ষা ও মুখস্থনির্ভর পড়াশোনার পরিবর্তে পারদর্শিতাকে গুরুত্ব দিয়ে দশম শ্রেণি শেষে পাবলিক পরীক্ষা;
→ পরীক্ষার চাপ কমানোর জন্য একাদশ শ্রেণির শিক্ষাক্রমের ভিত্তিতে একাদশ শ্রেণি শেষে এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষাক্রমের ভিত্তিতে দ্বাদশ শ্রেণি শেষে পাবলিক পরীক্ষা;
→ পারদর্শিতা অর্জন নিশ্চিত করা ও মুখস্থনির্ভরতা কমানোর জন্য শিখনকালীন/ধারাবাহিক মূল্যায়ন প্রবর্তন
→ ৯ম ও ১০ম শ্রেণিতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য কৃষি, সেবা বা শিল্প খাতের একটি অকুপেশনের ওপর দক্ষতা অর্জন বাধ্যতামূলক এবং ১০ম শ্রেণি শেষে যেকোনো একটি অকুপেশনে কাজ করার মতো পেশাদারি দক্ষতা অর্জন;
→ মাধ্যমিক স্তরে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন প্রবর্তন;
→ অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন-শেখানো কার্যক্রম বিদ্যালয়ের বাইরেও (পারিবারিক ও সামাজিক পরিসরে) অনুশীলন:
→ সকল শিক্ষার্থীর অভিন্ন মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনের জন্য স্তরভিত্তিক নির্বাচিত বিষয়ের পাশাপাশি মাদ্রাসা ও কারিগরি শাখার বিশেষায়িত বিষয়গুলোর যৌক্তিক সমন্বয়।
Discussion about this post