নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ৩১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা বর্তমান ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ছিল ২৬ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা। এবারের প্রস্তাবে বরাদ্দ বেড়েছে ৫ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ এ অনুদান দেওয়ার প্রস্তাব করেন।
অর্থমন্ত্রী সংসদে জানান, প্রাথমিক স্তরকে শিক্ষার মূল বুনিয়াদ হিসেবে বিবেচনা করে সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও আধুনিক করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক স্তর এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সকল শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭৪টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে। মুজিববর্ষকে শিক্ষার্থীদের নিকট স্মরণীয় করার লক্ষ্যে কিট অ্যালাউন্স (ড্রেস, ব্যাগ, জুতা) বাবদ ১ হাজার টাকা করে বিতরণ করা হয়েছে।
সার্বিকভাবে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য নতুন অবকাঠামো স্থাপন ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় ১ হাজার ৪৯৫টি নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে এবং পিটিআইবিহীন ১২টি জেলায় নতুন ১২টি পিটিআই চালু করা হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য ২৬ হাজার ৩৬৬ জন শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে এবং নতুন পদসহ মোট ৩২ হাজার ৫৭৭টি পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
প্রাথমিক স্তরের শতভাগ ভর্তি নিশ্চিতকরণ, শিক্ষার্থীদের ক্ষুধা নিবৃত্তি, দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা পূরণ, ঝরে পড়ার প্রবণতা রোধ, প্রাথমিক শিক্ষাচক্রের সমাপ্তির হার বৃদ্ধি, ভর্তিকৃত শিশুদের নিয়মিত উপস্থিতির হার বৃদ্ধি এবং প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
Discussion about this post