নিজস্ব প্রতিবেদক
উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হলে অনার্স/ডিগ্রি পাস কোর্সের মধ্যে ছোট ছোট কোর্স অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘রেগুলার কোর্সের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা এই কোর্সগুলো করবে। এগুলোর সময়সীমা হতে পারে ছয় সপ্তাহ/চার সপ্তাহের কোর্স। সময়োপযোগী এসব ছোট ছোট কোর্স কর্মসংস্থানে দারুণ কাজে দেবে।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে কর্মমুখী শিক্ষা নিশ্চিতে ১২টি দক্ষতাভিত্তিক পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা (পিজিডি) প্রোগ্রাম নিয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সক্ষমতা রয়েছে। এরই মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় অনেকগুলো যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে উচ্চশিক্ষায় পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। কর্মমুখী এসব কোর্স চালু হলে দেশের উচ্চশিক্ষায় আরও বেশি কোয়ালিটি নিশ্চিত হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘রেগুলার কোর্সের পাশাপাশি আমরা আরও নতুন কোর্স করব, যেগুলো শর্ট কোর্স হিসেবে আসবে। আমাদের সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করতে পেরেছি। এসব সমাধান করে স্বাধীনতার শতবর্ষে আমরা আলোকিত প্রজন্ম উপহার দিতে পারব।’
যে ১২টি পিজিডি প্রোগ্রাম নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে সেগুলো হলো ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি), ল্যাংগুয়েজ ইংলিশ অ্যান্ড অ্যারাবিক, এন্ট্রাপ্রেনারশিপ, ফার্মিং টেকনোলজি, ডেটা অ্যানালাইসিস, ট্যুরিজম অ্যান্ড ট্রাভেল ম্যানেজমেন্ট, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, সার্টিফায়েড অ্যাকাউন্টিং টেকনিশিয়ান, সাইবার সিকিউরিটি, সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট।
ওয়ার্কশপে গ্রুপ ওয়ার্কের মাধ্যমে ১২টি বিষয়ে কোর্স টাইটেল, আউটলাইন, সিলেবাস, প্রপোজাল, অবজেকটিভসসহ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গিয়াসউদ্দিন মিয়া, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের শিক্ষক ও বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক ড. ধীমান কুমার চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. উপমা কবির, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মেদ আহসানুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post