নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৯২২ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকার রাজস্ব ব্যয় সংবলিত বাজেট প্রাথমিকভাবে সিন্ডিকেটে গৃহীত হয়েছে। এতে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৫ কোটি টাকা।
যা গতবারের চেয়ে চার কোটি টাকা বেশি। অপরদিকে বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ কমেছে প্রায় ১৩ কোটি। আগামী বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) প্রস্তাবিত এই বাজেট সিনেট অধিবেশনে উপস্থাপন করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য ও প্রশাসনিক ভবনসূত্রে জানা গেছে, ৯২২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বাজেটের ১৪০ কোটি টাকা শিক্ষক, ৬১ কোটি টাকা কর্মকর্তা, ৭২ কোটি টাকা কর্মচারীদের বেতন দেখানো হয়েছে। ২১৮ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা ভাতা, পণ্য ও সেবায় খাতে ১৭৯ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা, পেনশন বাবদ ১৭৯ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা, গবেষণায় ১৫ কোটি ৫ লক্ষ টাকা, অন্যান্য অনুদান ৩৩ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে ৭৮১ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা আয় হবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুদান থেকে। যা মোট আয়ের ৮৩ শতাংশ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব আয় করবে ৮৩ কোটি টাকা। যা গতবার ছিল ৬৫ কোটি টাকা।
বাজেট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতবারের তুলনায় এবার বাজেটের আকার বেড়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা থেকে কমিয়ে ৮৩১ কোটি টাকা করা হয়েছিল। এবার বেড়ে ৯২২ কোটি টাকা হয়েছে। অন্যদিকে গবেষণায় বরাদ্দ বেড়েছে। গত বছর ছিল ১১ কোটি এবার চার কোটি বাড়ানো হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৯ কোটি ৫০ লক্ষ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে গবেষণায় বরাদ্দ ছিল ৯ কোটি টাকা।
করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন সরাসরি অ্যাকাডেমিক যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একারণে এবার বাজেটে যন্ত্রপাতি মেরামতেও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
অপরদিকে এবার বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ কমে আসছে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে ঘাটতি ছিল ৭০ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা যা এবার থাকছে ৫৭ কোটি ৫৪ লাখে।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যলয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বাজেটে গবেষেণা, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচেনায় কিছু খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
Discussion about this post