তানভীর পিয়াল
স্বেচ্ছায় রক্তদানে বিশ্ববাসীকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে ২০০৪ সাল থেকে পৃথিবীজুড়ে উদযাপিত হয়ে আসছে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। ১৪ জুন এ দিবস উপলক্ষ্যে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে (ইডিইউ) দিনব্যাপী স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, কুইজ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইডিইউ উপাচার্য অধ্যাপক সিকান্দার খান। তিনি বলেন, কারো রক্তের প্রয়োজন হলে তখনই বুঝা যায় রক্তদাতার ত্যাগ কত বড়। নিয়মিত রক্তদান একটি ভালো অভ্যাস। রক্তদানে শরীরের কোন ক্ষতি হয়ই না বরং বেশ কিছু উপকারও পাওয়া যায়। নিয়মিত রক্তদানে শরীর-স্বাস্থ্য ভালো থাকে। যদিও অনেকের মধ্যে রক্ত দেয়া নিয়ে ভয় কাজ করে। এই ভয় দূর করতে এ ধরনের সভা-সেমিনার ও রক্তদান ক্যাম্পেইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কাউকে রক্ত দিতে দেখলে অন্যদেরও ভয় প্রশমিত হয়।
সভায় কী-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের হেমাটোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. সাহেদ আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমাদের দেশে জনসংখ্যার তুলনায় রক্তদাতার সংখ্যা খুব সামান্য। ৬ থেকে ৭ লাখ লোক যদি বছরে দুইবার অন্তত রক্তদান করে তাহলেই দেশে রক্তের ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে। পজিটিভ গ্রুপের রক্ত পাওয়া গেলেও নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত পাওয়া দুরূহ। তাই এই গ্রুপের রক্তবাহকেরা নিয়মিত রক্তদান করলে নিজের ও অন্য অনেকের জীবন বাঁচানো সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, রক্ত মানব দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পূর্ণমাত্রায় রক্ত থাকলে মানবদেহ থাকে সজীব ও সক্রিয়। প্রাকৃতিক নিয়মেই প্রতি ৪ মাস পর পর আমাদের শরীরের রেড সেল বদলায়, তাই বছরে ৩ বার রক্ত দিলে শরীরের কোন ক্ষতি হয় না বরং শরীরের লোহিত কণিকা গুলোর প্রাণ ব্যস্ততা আরো বেড়ে যায়।
ক্লাবের এডভাইজর ও স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের লেকচারার তানিয়া খাদেমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন ইডিইউর ট্রেজারার অধ্যাপক সামস-উদ দোহা, রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া, কণিকার সভাপতি কফিল আহমেদসহ ইডিইউর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আলোচনা শেষে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের ক্রেস্ট ও রক্তদাতাদের শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
Discussion about this post