নিজস্ব প্রতিবেদক
অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসের মধ্যে কাজের সুযোগ (অন ক্যাম্পাস জব) বৃদ্ধির জন্য সিনেট সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিকেলে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে বাজেট অধিবেশনে বক্তব্যে তিনি বিষয়টি উত্থাপন করেন।
তিনি বলেন, এতে একদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজের ও সেবাকার্যক্রমের গুণগত মানের উন্নয়ন ঘটবে। অন্যদিকে অনেক শিক্ষার্থী নানা ধরনের মনো:সামাজিক অভিঘাত মোকাবেলা করার শক্তি ও সাহস পাবে। আত্মনির্ভরশীল কর্মমুখী দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।
উল্লেখ্য, বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের সাপ্তাহিক নির্ধারিত কর্মঘণ্টায় কাজ করার সুযোগ থাকে। ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শদান দপ্তরে খণ্ডকালীন চাকরির অতিসীমিত পরিসরের যে উদ্যোগটি রয়েছে তার পরিধি ও প্রকৃতির সম্প্রসারণ ঘটানো এখন সময়ের দাবি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সংস্কৃতি তৈরি নিয়ে ঢাবি উপাচার্য বলেন, বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্প চলমান রয়েছে। মানসম্মত গবেষণাকর্মকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশের জন্য নীতিমালার আলোকে শিক্ষকদের অর্থ অনুদান দেওয়া হচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি উন্নয়নের জন্য গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করতে এমফিল/ পিএইচডির জন্য গবেষণা বৃত্তির অর্থের পরিমাণ প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। উচ্চতর পদে নিয়োগ ও পদোন্নতির জন্য শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা জুলাই ২০২৩ থেকে কার্যকর হবে। এসব উদ্যোগ ও কর্মপ্রয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও গবেষকদের মাঝে গবেষণা-সংস্কৃতি তৈরিতে মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের ৯২২ কোটি ৪৮ লাখ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনের জন্য সভায় উত্থাপন করেন।
Discussion about this post