নিজস্ব প্রতিবেদক
কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রমকে বেগবান করতে দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিশোর-কিশোরী ক্লাব করা হবে। দেশব্যাপী পুষ্টিকার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আগামী ৩০ জুলাইর মধ্যে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ক্লাব গঠনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ জন্য বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
চিঠিতে বলা হয়, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি শ্রেণি থেকে ছয়জন করে মোট ৩০ জন এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চার থেকে পাঁচজন করে মোট ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কিশোর-কিশোরী ক্লাব গঠন করতে হবে।
এক্ষেত্রে বিদ্যালয়টি কো-এডুকেশন হলে ৩০ জন সদস্যদের অর্ধেক মেয়ে এবং অর্ধেক ছেলে হতে হবে। এ কিশোর-কিশোরী ক্লাবের মাধ্যমে সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সব ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও অন্যান্য সেবা দেওয়া হবে। ক্লাব পরিচালনার জন্য স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট সদস্যদের মধ্য থেকে সম্ভব হলে দুইজন (একজন মেয়ে ও একজন ছেলে) ক্লাব লিডার নির্বাচন করতে হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও অন্যান্য সেবামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে ক্লাবের সদস্যদের সহায়তার জন্য দুইজন গাইড শিক্ষক (একজন নারী ও একজন পুরুষ) নির্বাচন করবেন প্রধান শিক্ষক। দুইজন গাইড শিক্ষক বিজ্ঞান/কৃষিশিক্ষা/শরীরচর্চা/গার্হস্থ্য বিজ্ঞান শিক্ষকদের মধ্য থেকে নির্বাচন করা যেতে পারে। গাইড শিক্ষক ক্লাবের দেখভাল করবেন।
Discussion about this post