অনলাইন ডেস্ক
পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলা সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বানের পানির কারণে এই দুই জেলার লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। কোনো কোনো এলাকায় পানি ঘরের চালা স্পর্শ করেছে। ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় মানুষজন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিচ্ছেন। আটকাপড়াদের উদ্ধারে অভিযানে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী।
বন্যার্তদের সাহায্যে খাদ্য সামগ্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন সহায়তায় এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা। বেসরকারি সংস্থার মধ্যে অন্যতম বিদ্যানন্দ।
বিদ্যানন্দ সূত্রে জানা যায়, বন্যাদুর্গত সিলেট জেলায় তাদের চারটি টিম কাজ করছে। এই চার টিমে মোট ১২ জন সদস্য রয়েছেন। সেখানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের মধ্যে মূলত শুকনো ও রান্না করা খাবার বিতরণের কাজ করছে বিদ্যানন্দ।
তবে মানুষজনকে সহায়তা করতে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের। বিদ্যানন্দ জানায়, তাদের স্বেচ্ছাসেবকরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে শনিবার সকালে সিলেটে গিয়েই কাজ শুরু করেছে। তবে সিলেটে কোথাও গলা, আবার কোথাও কোমর পর্যন্ত পানি ওঠায় তাদের নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে।
বিদ্যানন্দ আরও জানায়, তাদের স্বেচ্ছাসেবকরা ও অনেকেই স্থানীয় এলাকার রাস্তা চিনছেন না, যে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কাছে যেতে তাদের অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। এছাড়া রান্নার জায়গা থেকে শুরু করে খাদ্য পণ্য সংগ্রহ করতে তাদের অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। তবে শত প্রতিকূল পরিবেশকে উপেক্ষা করেও তারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তা করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
বন্যাকবলিত সিলেটে বিদ্যানন্দের কার্যক্রমের বিষয়ে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের হেড অব কমিউনিকেশন সালমান খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, টুকের বাজার এলাকাসহ সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় আমাদের চারটি টিম কাজ করছে। প্রতিটি টিমে তিন জন করে সদস্য আছেন। তবে সুনামগঞ্জে আমাদের কোনো টিম যেতে পারেনি, যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ থাকায়। আমরা আজ সিলেটে প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করছি। শুকনো খাবারের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ১ কেজি মুড়ি, ৫০০ গ্রাম চিড়া ও গুড় দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সিলেটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ১ হাজার পরিবারকে প্রতিদিন রান্না করা খাবার বিতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আজ থেকে এই রান্না করা খাবার বিতরণ করা হবে। রান্না করা খাবারে থাকবে খিচুড়ি ও ডিম। এই পরিমাণে খাবার দেওয়া হবে যেন একটি পরিবার দুই বেলা খেতে পারে। পরিস্থিতি উন্নত না হওয়া পর্যন্ত আমরা রান্না করা খাবার বিতরণ করে যাবে।
Discussion about this post