শিক্ষার আলো ডেস্ক
নটর ডেম কলেজের বিভিন্ন ভবনের নাম বা বিখ্যাত কোনো ব্যক্তির নাম কলেজের বিভিন্ন জায়গায় ছড়ানো-ছিটানো আছে। অংশগ্রহণকারী যে দল এমন ২৫টি নাম সবার আগে খুঁজে আনবে তাঁরাই হবে বিজয়ী। এ খেলার নাম বিঙ্গো। আর পানির বোতল ওপরে ছুড়ে টেবিলে সোজা দাঁড়ানো অবস্থায় যিনি রাখতে পারবেন, তিনি গ্লাসের মধ্যে বল ছোড়া আরেকটি খেলার সুযোগ পাবেন।
আর গ্লাসে সবার আগে যিনি পাঁচবার বল ফেলতে পারবেন, তিনিই হবেন বিজয়ী। স্কিউট গেম নামে মজার এই খেলার পাঁচটি রাউন্ডের শেষ পর্ব এটি। আগের চারটি পর্ব আরও আকর্ষণীয় ও রোমাঞ্চকর। এ ধরনের রোমাঞ্চকর ১২টি ইভেন্ট নানা আকর্ষণীয় করে নটর ডেম আউটওয়ার্ড বাউন্ড অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব আয়োজন করে জাতীয় অ্যাডভেঞ্চার।
শনিবার বৃষ্টিভেজা দিনে এসব আয়োজনে অংশ নেন রাজধানীর ৬১টি স্কুল ও কলেজের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী। প্রতিযোগিতার খেলা আর ইভেন্টে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা হারিয়ে যান আনন্দের স্বর্গরাজ্যে। গতকাল নটর ডেম কলেজে দু’দিনব্যাপী পঞ্চম জাতীয় অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের শেষদিন ছিল।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পর্বের শিক্ষার্থী তানজিলা আক্তার অপরাজিতা বলেন, শ্বাসরুদ্ধকার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তিনি এখানে ফাইনাল রাউন্ডে আসেন। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সিরিজের সঙ্গে মেলানো এই খেলার পর্ব। তিনি খেলার ফাইনাল পর্বের জন্য নির্ধারিত হয়েছেন। আবারও তিনি এ ধরনের অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নিতে চান।
অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের এ উৎসবে জুনিয়র (ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণি) ও সিনিয়র (নবম-দ্বাদশ শ্রেণি) দুটি ক্যাটাগরিতে সাজানো। এসব ইভেন্টের মধ্যে সাতটি একক, পাঁচটি দলীয়। একক ইভেন্টগুলো হলো- মেইজ রানার, অ্যাডভেঞ্চার অলিম্পিয়াড, পিন পয়েন্ট অন ম্যাপ, হিডেন অবজেক্ট কোয়েস্ট, গ্লিম স্টোরি, ক্রশ ওয়ার্ড পাজল, লেনসেশন ও বুক বেইজড কুইজ। মেইজ রানার অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি ইভেন্ট, যেখানে প্রতিযোগীদের বিশাল আকৃতির গোলকধাঁধার মধ্য দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সঠিক পথে অ্যাডভেঞ্চার বের করে আনতে হয়। অলিম্পিয়াডে প্রতিযোগীদের অ্যাডভেঞ্চার-বিষয়ক জ্ঞান যাচাই করা হয়। পিন পয়েন্ট অন ম্যাপে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক স্থানের ছবি দেখানো হয়, পরে প্রতিযোগীকে মানচিত্রের মধ্যে অবস্থান চিহ্নিত করতে হয়। হিডেন অবজেক্ট কোয়েস্ট ইভেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধানী জ্ঞান যাচাই করা হয়।
অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের মডারেটর মোহাইমিনুল হক আসিফ বলেন, করোনার কারণে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা থেকে অনেকটা দূরে চলে গিয়েছিল। তারা মানসিক বিষন্নতায় ভোগা শুরু করে। তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে আরও উন্নত করতেই এই আয়োজন।
অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের সভাপতি ইফতি সাম আহমেদ বলেন, অ্যাডভেঞ্চারের মানে শুধু ঘুরতে যাওয়া নয়। খেলা ও ইভেন্টের মধ্যেও অ্যাডভেঞ্চার পাওয়া যায়।
অনুষ্ঠানের শেষ দিন বিকেলে এসব ইভেন্টের বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কলেজের অধ্যক্ষ ড. হেমন্ত পিউস রোজারিও ও যমুনা টিভির সাংবাদিক মোহসিন-উল হাকিম।
Discussion about this post