নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অধিদপ্তর ও দপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সেবার মান বাড়াতে নির্দেশ দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একজন সেবাগ্রহীতাও যেন বিমুখ না হন। আর শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুর হাসান চৌধুরী বলেছেন, ‘সেবা নিয়ে পাবলিক পারসেপশন ভালো না, প্রভাবমুক্ত ও ভোগান্তিহীন সেবা দিতে হবে।’
রোববার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সাথে তার অধীন ২৩টি অধিদপ্তর, দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন তারা।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক এর সাথে বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রধান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপ্রিএ) চূড়ান্ত মূল্যায়নে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সরকারের ৫১টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। তবে শিক্ষা সেক্টরে সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে পাবলিক পারসেপ্শন ভালো না থাকায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সেবার মান বাড়াতে কর্মকর্তা কর্মচারীদের নির্দেশ দেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সেবার মান বাড়াতে হবে। কোনও সেবাগ্রহীতা যেনও আমাদের কাছে বিমুখ হয়ে ফিরে না যান। যদি সেবাগ্রহীতাকে তার কাজ করে দেওয়া সম্ভব নাও হয় তবু তিনি যেন তৃপ্তি নিয়ে ফেরত যেতে পারেন।
’অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হানান চৌধুরী বলেন, ‘হাই লেভেল এসেসমেন্ট হলো ন্যূনতম মানদণ্ড। এতে সন্তুষ্ট হলে চলবে না। নাগরিক সেবা উন্নত হচ্ছে না। যারা প্রন্তিক পর্যায়ের সেবা গ্রহিতা তারা সেবা পাচ্ছে না। উচ্চ পর্যায়ের পুরস্কার পেলেই জনগণের চিন্তা-ভাবনা ইতিবাচক হবে তা নয়। আমাদের সেবা সম্পর্কে পাবলিক পরসেপশন এখনও ভালো না। আমরা ভোগান্তিহীনভাবে সেবা দিতে পারছি না। জেলা ও উপজেলার শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের বাজেট বাড়ছে কিন্তু সেবার মান বাড়ছে না। অর্থ অনেক খরচ হচ্ছে অথচ প্রভাবমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে পারছি না। প্রভাবমুক্ত ও ভোগান্তিহীন সেবা নিশ্চিত করতে হবে।’
সেবার মান ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত না হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, ‘কিছু দিন আগে আমরা প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দিয়েছি ২৩৩ জনকে। এই পদোন্নতির জন্য আমরা ছাড়পত্র পেয়েছিলাম ডিসেম্বর মাসে। আমরা যদি জানুয়ারিতে পদোন্নতি দিয়ে দিতাম কোনও সমস্যা ছিলো না। এতে কোনও বাধা ছিলো না আমাদের। আমরা দিতে দেরি করায় আট জন মারা গেছেন, ২৪ জন পিআরএল এ গেছেন। শেষ পর্যন্ত যখন প্রস্তাব পাঠাই তখন আরও একজন পিআরএল এ চলে গেছেন। আমার মনে হয়, তাদের এ ন্যয্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করায় আমাদের আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে।’
তিনি বলেন, আত্মসমালোচনা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে আগে।
Discussion about this post